কলকাতা: নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে জেরা করে পুরসভা সংক্রান্ত পরীক্ষার বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। আগেই অয়নের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভা সংক্রান্ত পরীক্ষার ওএমআর সিট, অ্যাডমিড কার্ড পাওয়া গিয়েছিল। গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, ৬০ টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। অন্তত ৫ হাজার জনকে বেআইনিভাবে টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছে। এবার এই নিয়ে আরও বিস্ফোরক বিষয় প্রকাশ্যে এল। ইডির দাবি, অনেকে চাকরির আবেদনপত্রটুকুও পূরণ করেননি, কিন্তু পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- কোথায় কেষ্ট-কন্যা? বোলপুর ছেড়েছেন, পৌঁছলেন না দিল্লি, ইমেল পাঠিয়ে অন্তরালে সুকন্যা
স্বাভাবিক নিয়মেই চাকরি পাওয়ার বেশ কিছু শর্ত থাকে। আগে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। অর্থাৎ চাকরির আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। তারপর পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের প্রশ্ন। কিন্তু যে বিস্ফোরক দাবি ইডির তরফে করা হচ্ছে তা হল, অনেকে চাকরির আবেদনপত্রটুকুও পূরণ না করেই পুরসভার চাকরি পেয়ে গিয়েছে। এক কথায়, তারা কেউই ফর্ম ফিলাপ পর্যন্ত করেনি। এতদিনে জানা গিয়েছিল যে, অনেকে পরীক্ষায় বসে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। এবার আরও বড় দিক সামনে এল। কিন্তু এইভাবে চাকরি পাওয়া কী ভাবে সম্ভব হল? এই নিয়েও ব্যাখ্যা মিলেছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পুরসভাতেও বেআইনি নিয়োগ? উদ্ধার প্রচুর ওএমআর শিট! Illegal recruitment in Municipalities?” width=”853″>
আসলে জানা গিয়েছে, পুরসভারগুলিতে বিভিন্ন পদে নিয়োগের দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা। আবেদন সংক্রান্ত ফর্ম তৈরি থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি, ওএমআর সিট, সবকিছুর কাজ করত তারা। তাই যারা যারা আবেদন করতে চাইত তাদের থেকে টাকা নেওয়া হত। সেই টাকার বিনিময়ে কিছু এজেন্ট, কিছু পুরকর্মী বা আধিকারিকরা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা হাতে পাওয়ার পর সেই তালিকা ধরে ফর্ম পূরণ করা থেকে উত্তরপত্র তৈরি সবটাই করে দিত। অর্থাৎ, যারা আবেদন করছে তাদের কোনও কিছুই আর করতে হত না। শুধু টাকা দিয়ে দিতে হত অয়নের সংস্থাকে।