কলকাতা: রাস্তায় এক এক জায়গায় এখন পুলিশের থেকে বেশি সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দেখা যায়। সংখ্যা তারাই বেশি থাকে এবং অনেকের অভিযোগ সিভিকদের দৌরাত্ম্য বেশি। বিভিন্ন এলাকা থেকেই মাঝে মাঝে এই সিভিক ভলেন্টিয়াদের নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে। সম্প্রতি এসেছে সরশুনা থানা এলাকা থেকে। সেই মামলার শুনানি এদিন ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্য পুলিশের আইজিকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- নিশীথ-কাণ্ডে কড়া বিবৃতি রাজভবনের, বিজেপির দাবি মেনে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে রাজ্যে?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে? কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের? মূলত এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাই রাজ্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিভিকদের নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি করে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে তা আদালতে জমা দিতে হবে। কিন্তু ঠিক কী মামলার ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট? আসলে, কিছুদিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল যারা এই কাজ করেছে। এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”জড়িয়ে পড়ছেন কি টলি-বলির সুন্দরী লাস্যময়ীরা? Glamorous women who got involved in several scams” width=”560″>
রাজ্যের শীর্ষ আদালতে যুবকের পরিবার জানিয়েছে, ওইদিনের পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর পরিবারের আইনজীবী এই প্রেক্ষিতে আমতার যুব নেতা নিহত আনিস খানের প্রসঙ্গ তোলেন। সেই ঘটনাতেও সিভিক পুলিশের অন্তর্ভুক্তি ছিল। তাই এদিন আদালত রাজ্য পুলিশকে এই কড়া নির্দেশ দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, কিছুদিন আগেই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিক পুলিশদের নিয়ে বড় বার্তা দিয়েছিলেন। ইঙ্গিত মিলেছিল যে, সিভিক ভলান্টিয়াররা স্থায়ী চাকরি পেতে পারেন। কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার ভাল কাজ করলে তিনি স্থায়ী চাকরির সুযোগ পাবেন। সিভিকরা কনস্টেবল হিসাবে স্থায়ী চাকরি পেতে পারেন।