কলকাতা: বিরোধীরা রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট বড় হাতিয়ার পেয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চরম অস্বস্তিতে আছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেফতারি, শিক্ষাক্ষেত্র থেকে একাধিকজন হাজতে যাওয়ায় সমালোচনা আরও তীব্র হয়েছে। যদিও চাপে থাকলেও তা প্রকাশ্যে দেখাতে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির। বরং তারা নিজেদের ‘নির্দোষ’ বলে তোপ দেগেছে সিপিএমকে। বাম আমলেও বিরাট নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে। তার জন্য কিছু ‘পদক্ষেপ’ও নেওয়া হচ্ছে। এই আবহে অন্যান্য অনেক দলীয় নেতাদের মতো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ২০ হাজার শিক্ষককে শোকজ নোটিস শিক্ষা দফতরের, কাটা হবে কাদের বেতন?
খড়দহে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শোভনদেব বলেন, কিছু অসৎ লোক নিশ্চয়ই আছে, তার জন্য গোটা দল নষ্ট হয়ে যায় না। তাঁর যুক্তি, মন্দিরে পুরোহিত চোর হলে, দেবতা কি চোর হয়ে যায়? এক্ষেত্রে তিনি দলের নেত্রীর প্রসঙ্গ টেনেছেন। শোভনদেবের কথায়, তিনি চোর হতে পারেন কিন্তু নেত্রী নন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি সিপিএম জমানার ‘দুর্নীতি’র কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, বামফ্রন্টের জমানায় ‘পলিটেকনিক কলেজে অন্তত ২০০ অধ্যাপককে বেআইনিভাবে নিয়োগ’ করা হয়েছিল। দুর্নীতির সব তথ্য নাকি তাঁর কাছে আছে। এমনিতেই ঘাসফুল শিবির অভিযোগ করেছে, একমাত্র তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাল্লা নিজেদের জন্য ভারি করতে চাইছে বিরোধীরা। এখন শোভনদেবের মন্তব্যও তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তৃণমূলকেই কি অস্বস্তিতে ফেলবেন পার্থ? Will Partha’s comment put TMC in uncomfortable position?” width=”560″>
আসলে সিপিএম আমলেও যে চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণ করতে এবার আসরে নেমেছে তারা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য বসুকে সেই সংক্রান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস দলও আলাদা করে এই তালিকা তৈরি করছে। যা নিয়ে ফেসবুকেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তৃণমূল আইটি সেল রাজ্যের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।