কলকাতা: ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইতিহাসের একটি প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক। ‘গান্ধী-আরউইন চুক্তি কবে হয়েছিল?’ এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই গোল বাঁধে৷ চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন উত্তর হবে মার্চ মাস৷ কিন্তু, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি মে মাস! উত্তর নিয়ে দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর অবশেষে উত্তর দেয় কমিশন৷ ২০২২ সালে কমিশনের প্রকাশিত ওএমআর শিটে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীদের জবাবই ঠিক ছিল। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে৷ মঙ্গলবার বিচারপতি অনিরূদ্ধ রায়ের বেঞ্চে ছিল এসএলএসটিতে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি৷ মামলাকারীরা আদালতকে জানান, উত্তর সঠিক দেওয়া সত্বেও চাকরিপ্রার্থীদের ১ নম্বর দেওয়া হয়নি। বাড়তি নম্বর পেলে বহু প্রার্থীই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতেন৷
আরও পড়ুন- বেলা ১২টা, রেড রোডের মঞ্চে পৌঁছে গেলেন মমতা, ধর্না শুরু, পাশে সংবিধান
মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী এদিন আদালতে বলেন, ‘‘ইতিহাসের ওই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরেও চাকরিপ্রার্থীরা ১ নম্বর পাননি৷ ওএমআর শিট প্রকাশের পরেও নম্বর বাড়াতে রাজি হয়নি কমিশন। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা৷’
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী আরও বলেন, ‘এই প্রশ্নের ভিত্তিতে নম্বর বাড়ানো হলে মেধাতালিকায় অনেকটাই বদল ঘটবে। এক নম্বর বাড়লে অনেকেই কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ পাবেন। কমিশন আগেই যদি বাড়তি নম্বর দিয়ে দিত, তাহলে এত সমস্যা হত না। কমিশনের ভুলের জেরেই যোগ্য হওয়ার পরেও ৫ বছর পিছিয়ে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।’ সওয়াল শেষে তাঁর প্রশ্ন, ‘গান্ধী-আরউইন চুক্তি কবে সম্পাদিত হয়েছে সেটুকু জানতে কমিশনের ৫ বছর লেগে গেল?’
সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি বলেন, মামলাকারীরা অতিরিক্ত এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য। চাকরিপ্রার্থীদের সেই নম্বর দিতে হবে কমিশনকে। এবং এই এক নম্বর বাড়ানোর পর যদি তাঁরা নিয়োগের জন্য বিবেচিত হয়, তাহলে তাঁদের নিয়োগও দিতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>