গহ্বরের মধ্যে লুকিয়ে বিরাট জঙ্গল! মিলতে পারে নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ-প্রাণীর হদিশ

গহ্বরের মধ্যে লুকিয়ে বিরাট জঙ্গল! মিলতে পারে নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ-প্রাণীর হদিশ

6a225e3c5d9c72b1fa7bee0759e70cbd

কলকাতা: প্রকৃতির ভাণ্ডারে মিলল আরও এক রহস্যের খোঁজ৷ দেখা মিলল বিশাল গহ্বর (সিঙ্কহোল)-এর নীচে লুকিয়ে থাকা প্রাচীন অরণ্যের! 

আরও পড়ুন- ৯৫-এ শুভ পরিণয়! ৮৫-র প্রেমিকাকে বললেন ‘আই ডু’

সম্প্রতি চিনে এমনই এক রহস্যময় জঙ্গলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ যেখানে রয়েছে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা গাছ৷ কিন্তু এই ‘সিঙ্কহোল’ আসলে কী? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘সিঙ্কহোল’ হল মাটির নীচের গহ্বর৷ যা মাটির নীচে  ধসের কারণে তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, সিঙ্কহোলে লুকিয়ে থাকা অরণ্যে বহু নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর হদিশ মিলতে পারে৷ 

সিঙ্গহোল

দক্ষিণ চিনের গুয়াংজি অঞ্চলে একটি গুহার খোঁজ পেয়েছিল এক অনুসন্ধিৎসু দল। তাঁরাই প্রথম এই গহ্বর এবং তার মধ্যে থাকা জঙ্গলটির খোঁজ পান। তাঁরা এই বিষয়টি বিজ্ঞানীদেরও জানান৷ চিনের লেই কাউন্টিতে মোট ৩০টি সিঙ্কহোল রয়েছে৷ তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এই গহ্বরটি লম্বায় ৩০৬ মিটার এবং চওড়ায় ১৫০ মিটার৷ এর গভীরতা ১৯২ মিটার। চিনের ‘ইন্সটিটিউট অব কার্স্ট জিওলজি’র ইঞ্জিনিয়ার ঝাং ইউয়ানহাই জানান, এই গহ্বরের দেওয়ালে তিনটি গুহা রয়েছে৷ এক দম নীচে রয়েছে জঙ্গল।

এই জঙ্গলের রহস্যভেদে পা বাড়ান বিজ্ঞানীরা৷ কী রয়েছে এই জঙ্গলের মধ্যে? জবাব পেতে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চলিয়ে গহ্বরের একেবারে তলদেশে পৌঁছন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন চেন লিক্সিন। তিনি জানান, বড় বড় গাছের পাশাপাশি কাঁধ পর্যন্ত লম্বা বেশ কিছু উদ্ভিদের খোঁজও তিনি পেয়েছেন এই জঙ্গলে। তাঁর কথায়, ‘‘এই গহ্বরের গুহাগুলিতে নতুন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেলে আমি হতবাক হব না।’’ গহ্বরের ভিতরের দেওয়ালের পাথর, ভূগর্ভস্থ জলে ক্ষয়ে গিয়ে এক অদ্ভুত নকশার সৃষ্টি করেছে বলেও জানিয়েছেন লিক্সিন৷

সিঙ্গহোল

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই এলাকা জুড়ে এই ধরনের অনেককটি গহ্বর রয়েছে। আগামী দিনে আরও গহ্বরের খোঁজ মিলতে পারে বলেও তাঁদের ধারণা৷ তবে বিজ্ঞানীদের মতে, এই গহ্বরটি বিরল। কারণ এটি সাধারণ গহ্বরের তুলনায় অনেক বেশি গভীর। তবে এই গহ্বরের মুখ দিয়ে প্রবেশ করে পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যের আলো৷ সেই কারণেই এখানে প্রাণ রয়েছে৷ গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের গাছ৷ রয়েছে প্রাণীও৷ এই গহ্বর যেন মনে করিয়ে দেয় ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’র গল্প৷