৯৫-এ শুভ পরিণয়! ৮৫-র প্রেমিকাকে বললেন ‘আই ডু’

৯৫-এ শুভ পরিণয়! ৮৫-র প্রেমিকাকে বললেন ‘আই ডু’

c053a36e683bd3f9cd8d201391a51c6c

লন্ডন: ‘প্রেমে পড়া বারণ, কারণে অকারণ..’৷ সত্যিই কি তাই? নিষেধ কি মানে প্রেম? সমাজের যত নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রেমের এক অনন্য কাহিনী লিখলেন এই ‘তরুণ-তরুণী’৷ ২৩ বছর অপেক্ষার পর ৮৫ বছরের প্রেমিকাকে ‘আই ডু’ বললেন ৯৫-এর প্রেমিক! একে অপরের হাতে হাত রেখে আরও একবার বিশ্ব-দুনিয়াকে বুঝিয়ে দিলেন ভালোবাসার কোনও বয়স নেই৷ জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেও তাই এ ভাবে শুরু করা যায় নতুন ভাবে পথ চলা৷ 

আরও পড়ুন- চারপাশ গিলে খাচ্ছে এই গর্ত! সাইবেরিয়ায় খুলে গেল ‘নরকের দরজা’

জানা গিয়েছে, ২৩ বছর আগে একটি গির্জায় প্রথম ভালোবাসার মানুষ ভ্যালেরি উইলিয়ামের দেখা পান জুলিয়ান মোয়েল৷ কিন্তু এতদিন ভ্যালেরিকে বিয়ের প্রস্তাব দেননি জুলিয়ান৷ অবশেষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রপোজ করেন তিনি৷ তাতে সম্মতি জানান ভ্যালেরিও৷ ব্রিটেনের কার্ডিফের যে ব্যাপটিস্ট গির্জায় প্রথম দেখা, সেখানেই ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করলেন তাঁরা৷

নবতিপর পাত্রের সঙ্গে অশিতীপর পাত্রীর বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন জনা ৪০ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়৷ তবে চমকে দেওয়ার বিষয় হল, এটা তাঁদের দু’জনেরই প্রথম বিয়ে৷ গাঁটছড়া বেঁধে আপ্লুত প্রেমিক যুগল৷ এখনও যেন এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না ভ্যালেরি৷ সবটাই তাঁর কাছে স্বপ্ন৷ আর জুলিয়ানের কথায়, ‘এটা দারুণ’৷ ‘যেন নতুন বছরের শুরু৷’ আগামী দিন এই ভাবেই একসঙ্গে পথ চলতে চান নবদম্পতি৷ চলতি বছরের শেষে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছে এই যুগল৷ গন্তব্য জুলিয়ানের জন্মস্থান অস্ট্রেলিয়া৷ স্ত্রীকে নিজের জন্মভিটে দেখাতে নিয়ে যাবেন জুলিয়ান৷ 

 

ভ্যালেরি

জানা গিয়েছে যে, এর সময় পেশায় অপেরা সিঙ্গার ছিলেন জুলিয়ান। ১৯৫৪ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্রিটেনে চলে আসেন তিনি। ১৯৭০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ওয়েলশ ন্যাশনাল অপেরার প্রথম একক সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। তাই তাঁর বিয়েতে অপেরার আসর বসবে না, তা কি হয়? ভ্যালেরি আর জুলিয়ানের এই প্রেম কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হট কেক৷  ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের প্রেম কাহিনী৷

ভ্যালেরির কথায়, ‘ জুলিয়ান সত্যিকারের ভদ্র মানুষ৷ আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। ওঁর জীবনে অনেক মেয়েই এসেছে। কিন্তু সকলকে ছেড়ে ও যে আমাকে ভালোবেসেছে এবং আমাকে জীবনসঙ্গী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমি সারা জীবন ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’ অন্যদিকে জুলিয়ানের কথায়, ‘ভ্যালেরি অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। আর সেটার জন্যই ওকে এত ভালোবেসে ফেলেছি।’  

ভ্যালেরি-জুলিয়ানের এই কাহিনী কোনও রুপকথার গল্পের চেয়ে কম নয়। নতুন জীবনের জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিশ্ববাসী৷