ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইকে সম্মান, নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’

ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইকে সম্মান, নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’

স্টকহলম: এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার কে পাবে তা নিয়ে চর্চা ছিল প্রথম থেকে। তার কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটল এদিন। ২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। ক্ষুধার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রচেষ্টার জন্য তাদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকা প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৩১৮, তাদের মধ্যে ২১১ জন ব্যক্তি এবং ১০৭ টি প্রতিষ্ঠান। তবে এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য মনে করা হচ্ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে। কারণ দীর্ঘ প্রায় নয় মাস ধরে তারা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে বিগত মাসগুলিতে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তারা চীনের পক্ষপাতিত্ব করছে। তবে আজ নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা হওয়ার পর সব বিতর্কের অবসান ঘটেছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই গোটা বিশ্ব জুড়ে অনাহারের সংকট দেখা গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ৮৮ দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে সাহায্য করতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য অভুক্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। ক্ষুধার বিরুদ্ধে তাদের লড়াইকে সম্মান জানিয়েই নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে তাদের।

নোবেল প্রাইজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সারা বিশ্বে অনাহার মেটাতে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়েছে এই সংস্থা। নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া তারই স্বীকৃতি। সম্মানের পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। নগদ প্রায় ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে দেওয়া হবে তাদের হাতে, এছাড়াও থাকছে স্বর্ণপদক। প্রসঙ্গত, এবছর সম্ভাব্য নোবেলজয়ী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর নামসহ সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গের নামও উঠে এসেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *