ওয়াশিংটন: ভোটের ফল প্রকাশের আগেই নিজেকে জয়ী বলে ঘোষণা করেছিলেম ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ জয় আসবেই, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন তিনি৷ কিন্তু একের পর এক রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে হয় তাঁকে৷ রিপাবলিকানদের সরিয়ে গড়ে ওঠে নীল প্রাচীর৷ দেশের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমারিকাবাসী বেছে নেন জো বিডেনকে৷
আরও পড়ুন- বিডেনের জয় বিশ্ব রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭০ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ যা আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷ ৪৭ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি৷ ফ্লোরিডা এবং টেক্সাস সহ ২৪টি রাজ্যে জয়ী হয়েছেন৷ আমেরিকার বৃহদাংশের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর৷ ছিল অভ্যন্তরীণ সংযোগ৷ তা সত্বেও হারতে হল ট্রাম্পকে৷ চার বছর হোয়াইট হাউজে থাকার পর তাঁর সমর্থকরা সূক্ষ্ণ বিচার করেছিলেন৷ ২০২০ সালে তাঁর রাজনৈতিক দুর্বলতাকেও রাজনৈতিক শক্তি হিসাবেই জাহির করা হয়েছিল৷ তথাপি তাঁকে পরাজিত হতে হল৷ দ্বিতীয়বারের জন্য হোয়াইট হাউজে ফেরা হল না তাঁর৷ ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি পপুলার ভোটেও পরাজিত৷
আরও পড়ুন- হার মেনে নিতে পারছেন না, নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন ট্রাম্প?
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প৷ যার কারণ হিসাবে বলা হয়, তিনি ছিলেন রাজনৈতিক ভাবে বহিরাগত৷ আগে যে কথা বলা হয়নি, সে কথা বলতেও প্রস্তুত ছিলেন তিনি৷ কিন্তু ২০২০ তে তিনি পরাজিত হলেন৷ কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, তিনি ছকে বাঁধা রাজনীতিবিদ নন৷ ট্রাম্প শিবিরের অধিকাংশ সমর্থক তাঁকে ভোট দিলেও, তাঁর বেশ কিছু কুকীর্তিকে সমর্থন করতে পারেননি আমেরিকার সাধারণ মানুষ৷ তাঁর আক্রমণাত্মক ভূমিকাকে তাঁরা ভালো চোখে দেখেননি৷ তার উপর এই বছর নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা ভাইরাস৷ অনেকেই মনে করেন দক্ষ ভাবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প৷ ছিল জলবায়ু আর বর্ণবৈষম্যের ইস্যুটিও৷ তাই চার বছর আগে যাঁরা তাঁকে হোয়াইট হাউজে পৌঁছে দিয়েছিলেন, এবার তাঁরাই হোয়াইট হাউজ থেকে বার করে আনলেন তাঁকে৷ বিশেষ করে শহরতলীর মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা হারিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ যার প্রভাব পড়ল ২০২০তে৷ পেনসিলভ্যানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিন তো বটেই জর্জিয়া এবং অ্যারিজোনাতেও উড়ল ডেমোক্র্যাটদের পতাকা৷