বেজিং: গতবছর নভেম্বরে চিনের উহান প্রদেশে প্রথম দেখা মিলেছিল করোনা ভাইরাসের। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে এই মারণ ভাইরাসের দাপট প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। শুধু তাই নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকেই এলোমেলো করে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। বহু চেষ্টার পর অবশেষে আবিষ্কৃত হয়েছে করোনা ভ্যাকসিন। কিন্তু ভয়ানক এই ভাইরাসের উৎস্য কোথায়? খোঁজ নিতে চিনে পারি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সদস্যরা।
চিনের উহান প্রদেশে পশু পাখিদের স্বাস্থ্যের জন্য কেমন পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে এদিন উহানের একটি পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (animal health facility) হাজির হয়েছেন হু-এর বিজ্ঞানী দল। করোনা ভাইরাসের সঠিক উৎস সন্ধানের উদ্দেশ্যেই এই কেন্দ্রে পৌঁছেছেন তাঁরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ওই গবেষক দল উহানের একাধিক হাসপাতালেও ঘুরেছেন। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে তাঁরা তাঁদের গবেষণা চালাচ্ছেন বলেই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
জানা গেছে, হু-এর গবেষকরা উহানের বিভিন্ন হাসপাতাল ছাড়াও গিয়েছেন প্রাদেশিক রোগ প্রতিরোধক কেন্দ্রে। এছাড়া হুয়ানান সামুদ্রিক খাবারের বাজারটিও (Huanan seafood market) ঘুরে দেখেছেন তাঁরা। ২০১৯-এর শেষে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়েছিল এই বাজার থেকেই। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য পিটার দাসজ্যাক এদিন রয়টার্সের প্রতিনিধিকে জানান, “আমাদের গবেষণা দারুণ চলছে।”
এদিন যে পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছেন স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা, জানা গেছে সেখানে পশুপাখিদের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে চর্চা করা হয়। কীভাবে করোনা ভাইরাস বাদুড়ের শরীর থেকে মানবদেহে প্রবেশ করল, এতে অন্য কোনো মাধ্যম কাজ করেছে কিনা সেসব বিষয়েই ওই কেন্দ্রে আলোচনা করবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, উহানের মাটিতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা চালাচ্ছেন তা বিশেষ ভালো চোখে দেখছে না চিন প্রশাসন। একাধিক তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই গবেষণাকে তাই “রহস্যময় কাহিনী”র আখ্যা দিয়েছে হু কর্তৃপক্ষ।