দিনভর প্রস্তুতি, রাতে ২টি করে শো…! প্রমোদতরীর জীবন কাহিনি শোনালেন ব়্যাচেল

দিনভর প্রস্তুতি, রাতে ২টি করে শো…! প্রমোদতরীর জীবন কাহিনি শোনালেন ব়্যাচেল

নয়াদিল্লি:  জলের সঙ্গেই জীবন জোড়া তাঁদের৷ জাহাজে ভেসে চলা যাত্রীদের মনোরঞ্জন করেই যে তাঁদের পেট চলে। জাহাজের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান তাঁরা৷ গান গেয়ে, নাচ করে যাত্রীদের আনন্দ দেওয়াটাই যে ওঁদের কাজ৷ কিন্তু গভীর সমুদ্রে ভেসে চলা এই সমস্ত বিনোদনকর্মীদের জীবন কেমন? বিলাসবহু জাহাজে কাজ করা এই কর্মীদের জীবনে কি আদৌ রয়েছে বিলাসিতার ছোঁয়া? কেমনই বা এই সকল জাহাজের অন্দরসজ্জা? 

মাঝ সমুদ্রে ভাসমান এমনই এক বিনোদন শিল্পী হলেন ব়্যাচেল হাডসন৷ যাত্রীবাহী জাহাজে গান গেয়ে শোনান তিনি। জলেই কেটে যায় বছরের অধিকাংশ সময়। ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টারের বাসিন্দা ব়্যাচেলের জীবন যেন দু’মলাটে বন্দি এক কাব্য৷ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জল-জীবনের কাহিনী শুনিয়েছিলেন র্যা চেল। যেখানে লুকিয়ে অনেক অজানা কাহিনী৷ 

rachal

তিনি জানান,  বিলাসবহুল জাহাজে তাঁর দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। তাঁর কথায়, বাড়ি থেকে দীর্ঘ দিন দূরে থাকতে হলে, বাড়ির মতো পরিবেশ তৈরি করে নেওয়াটা খুবই জরুরি৷ তাই বাড়ির মতোই সকাল হলেই চায়ের কাপে চুমুক না দিলে চলে না তাঁর। জাহাজে সপ্তাহে মোট ৪দিন কাজ করতে হয় ব়্যাচেলকে৷ থুরি৷ দিন নয়, রাত৷ কারণ  রাতেই জাহাজে শুরু হয় র্যা চেল এবং তাঁর সহকর্মীদের শো।

তাঁর কথায়, ‘‘যে দিনগুলিতে শো থাকে, সেই দিনগুলো খুবই ব্যস্ত থাকি। সকাল থেকেই যাবতীয় যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হয়। যাতে শো-এর মাঝে কোনও বিপত্তি না ঘটে।’’ ফলে রাতে বিনোদনের দায়িত্ব থাকলেও দিনভর চলে তার প্রস্তুতি৷ 

ship

কাজের ফাঁকে জল-জীবনের রোমাঞ্চও দারুণভাবে উপভোগ করেন তিনি। চলার পথে যে সব জায়গায় নোঙর করে জাহাজ, সেই সকল জায়গা ঘুরে নেন ব়্যাচেল ও তাঁর সহকর্মীরা।

জাহাজের অন্দরসজ্জাও তাক লাগানো৷ রয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান। গাছগাছালির মাঝেই অবসর যাপন করেন র্যা্চেল। এ ছাড়া নানা রকন রেস্তরাঁ ও ক্যাফেও রয়েছে যাত্রী এবং জাহাজকর্মীদের জন্য। এই সব রেস্তরাঁ এবং ক্যাফেতে বসেই সময় কেটে যায় তাঁর৷ তাঁর কথায়, মনেই হয় না সমুদ্রের মধ্যে আছি। তবে শো না থাকলে তবেই রেস্তরাঁয় যাওয়ার সুযোগ হয়।

ব়্যাচেল

বিকেল ৫টা বাজতে না বাজতেই রাতের শো-এর তোড়জোড় শুরু৷ স্নান করে নির্দিষ্ট পোশাক পরা, উপযুক্ত মেক আপ লাগিয়ে নিজেকে তৈরি করে নেওয়া৷ প্রতি রাতে ২টি করে শো করেন ব়্যাচেল। তাঁর লাস্যময়ী রূপ আর সুরের মাদকতায় বুঁদ হন শ্রোতারা। প্রথম শো শুরু হয় রাত সাড়ে ৮টায়। পরের শো রাত সাড়ে ১০টা থেকে। শো শেষ করে জাহাজের বারে চলে যান ব়্যাচেল। সেখানে ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিতে একটু রিল্যাক্স হয়ে নেন৷ তাস খেলেম বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে৷  এই জহাজই এখন তাঁর ঘর৷ তবে মাঝে মাঝে মন কেঁদে ওঠে পরিবারের জন্যে৷