কিয়েভ: রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট হামলার কথা ঘোষণার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও থামেনি কোনও রকম যুদ্ধ। একের পর এক হামলা হয়ে চলেছে ইউক্রেনের শহরগুলিতে। পর পর পড়ছে বোমা, চলছে মিসাইল, গুলির পর গুলির শব্দে কান যেন ফেটে যাচ্ছে। কিন্তু তবুও রাশিয়ান বাহিনীর কাছে মাথা নত করতে রাজি নয় ইউক্রেন। কিয়েভের রাস্তায় শুরু হয়ে গিয়েছে ‘শেষ’ যুদ্ধ। রাশিয়ান বাহিনীর মুখোমুখি ইউক্রেন বাহিনী। আর তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে ইউক্রেনের আম জনতাও। তারাও হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান ট্যাঙ্কার ঢুকতে দেবেন না! ব্রিজে নিজেকেই উড়িয়ে দিলেন ইউক্রেনীয় সেনা
কিয়েভ শহর জুড়ে এখন যেন ধ্বংসাবশেষ। ভেঙে পড়েছে অট্টালিকা, রাস্তায় লাশ, ধ্বংসস্তুপ। শনিবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ কিয়েভে ঢুকে পড়েছিল রাশিয়ান সেনাবাহিনী একটি বড় অংশ। তখন থেকেই সেখানে চলছে চূড়ান্ত লড়াই। জানা গিয়েছিল, ইউক্রেনের রাজধানীর নাকা পয়েন্ট ভাসিলকিভে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশের ছদ্মবেশে ঢুকছিল রাশিয়ান বাহিনী। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেন সেনা। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। গুলিবর্ষণে অনেকেই প্রাণ হারান। এরপর সেখান থেকেই শয়ে শয়ে রাশিয়ান সেনা ঢুকছে কিয়েভে। তাদের আটকাতে যেমন তৈরি হচ্ছে ইউক্রেন সেনা, পাশাপাশি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন বহু অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং সাধারণ নাগরিক। কিয়েভের রাস্তায় রাশিয়ান সেনার সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ জন ইউক্রেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ৩ জন শিশু। কিন্তু বাকিদের মধ্যে ক’জন আম জনতা, ক’জন সেনার কর্মী তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। আগেই ইউক্রেন দাবি করেছিল যে, দুদিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৪টি রুশ বিমান, অন্তত ৮০ টি ট্যাঙ্ক, ২০ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সহ প্রায় ১০০ টি ট্যাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেন।