নিউইয়র্ক: তিনি অহিংসার প্রতীক। শুধু ভারতের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য। সেই মহাত্মা গান্ধীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে চাইছে আমেরিকা। এমনই এক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাবে সম্মতি এলেই এই সম্মান পাবেন গান্ধীজি। যে সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে তা ভারতীয় হিসেবে প্রথম মহাত্মা গান্ধীকেই দেওয়া হতে পারে।
জানা গিয়েছে, আমেরিকার অসামরিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মহাত্মা গান্ধীকে। মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি ক্যারোলিন বি ম্যালোনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে জর্জ ওয়াশিংটন, নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং, মাদার টেরিজার মতো ব্যক্তিত্ব এই সম্মান পেয়েছেন। কিন্তু কোনও ভারতীয় পাননি। তাই মহাত্মা গান্ধী পেলে তা ঐতিহাসিক হবে। ম্যালোনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী যে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছিলেন তা গোটা বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করে। অহিংস আন্দোলন গোটা পৃথিবীকে আন্দলিত করেছিল। ইতিহাসে অনেকের অনেক আন্দোলন মানুষকে নাড়া দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন গান্ধীজি। তাই অবশ্যভাবে এই সম্মান তাঁকে দিতে পারলে গর্বিত হবেন সকলে।
আরও পড়ুন- মনোনয়ন জমা দিলে ঠ্যাং ভেঙে দেব! পঞ্চায়েত নিয়ে হুমকি তৃণমূলের
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে গান্ধীজির ৫৬ বছর বয়সি প্রপৌত্রী তথা নাতনি এলা গান্ধির মেয়ে আশিস লতা রামগোবিনের জেল হয়। ৩.২২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে সাত বছরের জেলের সাজা দিয়েছে ডারবানের একটি আদালত। এই দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীনও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জেল খেটেছিলেন মহাত্মা গান্ধী স্বয়ং। ২০১৫ সালে অগস্ট মাসে নিউ আফ্রিকা অ্যালায়েন্স ফুটওয়ার ডিস্ট্রিবিউটরের কর্মকর্তা এস আর মহারাজের সাক্ষাৎ হয় লতা রামগোবিনের৷ এই সংস্থা জামাকাপড়, সুতো এবং জুতো আমদানি, তৈরি এবং বিক্রি করে৷ এছাড়াও অন্যান্য সংস্থায় অর্থ লগ্নি করে৷ আলাপের কিছুদিন পর মহাত্মা গান্ধির প্রপৌত্রী মহারাজকে বলেন, তিনি খুবই আর্থিক সংকটে ভুগছেন। ফলে তাঁর আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন৷ মহারাজকে রাজি করার জন্য তিনি একাধিক ভুয়ো কাগজপত্র প্রমাণস্বরূপ পাঠান৷ এরপর ওই সব কাগজপত্র এবং তাঁর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে ওই টাকাটি রামগোবিনকে পাঠিয়ে দেন মহারাজ। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, সমস্ত কাগজপত্রই ভুয়ো।