লন্ডন: এক স্বেচ্ছাসেবী হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় কারণে বৃটিশ ওয়ুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা স্বেচ্ছায় এই ট্রায়াল বন্ধ রেখেছে৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সংস্থা করোনার ওষুধ তৈরির কাজে নেমেছে। এরা গোটা বিশ্বে কোভিড ১৯ প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে প্রথম সারিতে রয়েছে।
সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড করোনা ভাইরাস প্রতিষেধকের গ্লোবাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবেই সংস্থার খতিয়ে দেখার পদ্ধতিতে এই বিষয়টি ধরা পড়ে। তখনই স্বেচ্ছায় এই ট্রায়াল বন্ধ করে সংস্থার তরফে এক স্বাধীন কমিটিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বিচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। যেকোনও ট্রায়ালে যখনই হঠাৎ কোনও অসুস্থতার খবর মেলে তখনই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রক্রিয়ায় কাজ হয়। এর মাধ্যমে সংস্থা ট্রায়ালের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাস দিতে চায় বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
তিনি আরও জানিয়েছেন এরকম ট্রায়ালের ক্ষেত্রে অনেকসময় না চাইলেও এইধরণের অসুস্থতার খবর মিলতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে তদন্ত করে রিপোর্ট হাতে আসা প্রয়োজন। ট্রায়াল চলাকালীন কোনও বড়সড় প্রভাব এড়াতে ছোট ছোট পর্যায়ে এই ট্রায়ালগুলিকে খতিয়ে দেখা হয় বলে আরো জানিয়েছেন মুখপাত্র। তবে অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবক কোথাকার কিংবা ঠিক কতটা অসুস্থ বা কীধরণের অসুস্থতা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন তা বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু কোভিড ১৯ প্রতিষেধকের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এটি প্কথমবার ঘটলো বলে মনে করা হচ্ছে। কোভিড ১৯ প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ে থাকা বিশ্বের নটি সংস্থার একটি এই অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ৩১ অগাস্ট আমেরিকাতেই একডজন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর নাম তালিকাভূক্ত করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
প্রতিষেধকটিকে বলা হচ্ছে AXD1222. মূলত অ্যাডিনোভাইরাস নামের সাধারণত সর্দির একটি ভাইরাসে দূর্বল এক সংস্করণ ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রতিষেধকে। কোষ বিভাজনের জন্য নভেল করোনা ভাইরাস যে স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে তার ওপরই কারিকুরী করবে এই ভাইরাস বলে জানা গেছে।