ওয়াশিংটন: ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে রাশিয়া৷ নভেম্বরের মধ্যে করোনার টিকা বাজারে আনার ইঙ্গিত দিয়েছে ‘শত্রু’ দেশ চিন৷ টিকার দৌড়ে সামিল হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমেরিকাও৷ সম্ভবত আগামী এক মাসের মধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে বলে এবার জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
আরও পড়ুন- সুখবর! পুজোর পর বাজারে আসছে চিনের ৪টি করোনা টিকা
মঙ্গলবার টাউন হলে প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা ভ্যাকসিন তৈরির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের হাতে ভ্যাকসিন চলে আসবে৷ খুব বেশি হলে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে৷’’ মজার বিষয় হল এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘চার সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাক্সিন আমাদের হাতে চলে আসবে৷ তবে আট সপ্তাহও লাগতে পারে৷’’
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা৷ তাঁদের দাবি, আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন৷ ভোটের আগে চমক দিতে কোটি কোটি মানুষের জীবন সংকটের মধ্যে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প৷ জো বাইডেনকে কড়া টক্কর দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিজ্ঞানীদের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছেন তিনি৷ কারণ আমেরিকার শীর্ষ স্থানীয় এক চিকিৎসক অ্যান্টনি ফৌসির কথায়, ভ্যাক্সিনের অনুমোদন পেতে এই বছরের শেষ প্রান্ত হয়ে যাবে৷
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপুঞ্জে বড় জয় ভারতের, চিনকে হারিয়ে মহিলা কমিশনের সদস্য হল দেশ
আমেরিকায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ তাও কেন করোনা সংক্রমণকে হালকা চালে নিলেন প্রেসিজেন্ট? এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি কোনও ভাবেই বিষয়টি অবহেলা করিনি৷ বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা চালিয়েছি৷’’ ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প৷ ভ্যাক্সিন তৈরির শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন সংস্থা মোডার্না আইএনসি এবং ফাইজার আইএনসি। মার্কিন সরকারের ছাড়পত্র নিয়ে গবেষণার তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর টিকার চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করেছে মোডার্না। অন্যদিকে ফাইজারের টিকার ট্রায়াল চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দুটি টিকাই ট্রায়ালের একেবারে শেষপর্যায়ে। কিন্তু নভেম্বরের আগে এদের ট্রায়াল শেষ হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।