কলকাতা: সৌর ঝড়৷ এই শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচিতি থাকলেও এর প্রভাব ঠিক কতখানি, সে বিষয়ে জনমানসে ধারণা খুব একটা স্বচ্ছ নয়৷ সৌরঝড় পৃথিবীর উপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট নয়৷ সেই বিষয়টিই জেনে নেওয়া যাক৷
আরও পড়ুন- সমূহ বিপদ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কুতুব মিনারের ৩ গুণ বড় এক গ্রহাণু
বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, সোলার স্ট্রর্ম বা সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে প্রবেশ করলে একটি বিশেষ প্রকাশ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় অরোরা পোলারিস। উচ্চ-তরঙ্গের রেডিও সিগন্যালে এই সমস্যা ধরা পড়ে।
সৌর ঝড় আসলে কী?
সৌরঝড় হল একটি ধ্বংসলীলা৷ সূর্যপৃষ্ঠে অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তি প্রতিনিয়ত নির্গত হতে থাকে। অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় সৌর ঝড়৷ এর মধ্যে থাকে ফ্লেয়ার, প্রমিনেন্স, সানস্পট এবং করোনাল মাস ইজেকশন বা সিএমই৷ এগুলির মধ্যে সঞ্চিত চৌম্বকশক্তি সূর্যের গরম গ্যাসকে সক্রিয় করে। কখনও কখনও সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রর দিকে চলে আসে এবং ধাক্কা খায়। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের ফলে আকাশে অদ্ভুত আলোর সৃষ্টি করে।
এদিকে, নয়া সৌরচক্রে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে সূর্য। ইতিমধ্যেই একটি করোনাল মাস ইজেকশন বিস্ফোরিত হয়েছে এবং তা পৃথিবীর দিকে এগোচ্ছে। কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্সেসের অনুমান, বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে শক্তি এবং প্লাজমার বিশাল একটি ঢেউ আঘাত হানতে পারে৷
কী এই করোনাল মাস ইজেনকশান? করোনাল মাস ইজেকশান হল সৌর পৃষ্ঠে হওয়া সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণগুলির মধ্যে একটি৷ যা মহাকাশে প্রতি ঘন্টায় কয়েক মিলিয়ন মাইল বেগে এক বিলিয়ন টন পদার্থ ধারণ করতে পারে৷
এদিকে, আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (NOAA) এর পর্যবেক্ষণ, আগামী ৩১ মার্চ পৃথিবীতে একটি G3 শ্রেণীর শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় আছড়ে পড়তে পারে৷ এর ফলে স্যাটেলাইটের উপাদানগুলিতে সারফেস চার্জিং ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>