নিউইয়র্ক: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জেরবার গোটা বিশ্ব। প্রায় সাত মাস কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম ভ্যাকসিন বের করতে পারেনি কোনো দেশ। ইতিমধ্যে রাশিয়া এবং চীন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে গুরুত্ব দেয়নি খুব একটা। এদিকে ভারতেও একাধিক ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ট্রায়াল’ চলছে। তবে এবার আশা দেখাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ফার্মা সংস্থা ফাইজার জানাচ্ছে, তাদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। এতেই আশার আলো দেখছে বিশ্ববাসী।
ফাইজার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। তাতে ৯০ শতাংশের বেশি সুফল মিলেছে। উল্লেখ্য, জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োএটেকের সঙ্গে যৌথভাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার কাজ করছে ফাইজার। এক্ষেত্রে তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের এইভাবে সফলতা পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বিশ্বের গবেষক এবং বিজ্ঞানী মহল। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনো বাকি।
মার্কিন সংস্থা আরও দাবি করছে, যে করুণা ভাইরাস ভ্যাকসিন তারা তৈরি করেছেন তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা যায়নি, বরং ভ্যাকসিনের ক্ষমতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে, একাধিক দেশ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রস্তুতির জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছে। ফাইজার কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পর তাদের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় অনেক সুবিধা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর যদি এই ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ে সফল হয় তাহলে মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই বিশ্ববাসী পেয়ে যাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।
যদিও এই ভাইরাস আবহে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেতে বিশ্ববাসীকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আবার এমনও রিপোর্ট বেরিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, হয়তো কোন দিনই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না। তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ বন্ধ করেননি বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা। যেভাবে বিভিন্ন দেশে একের পর এক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল’ চলছে, কাছে আশা করাই যায় খুব শীঘ্রই সুসংবাদ মিলবে।