গাজা: জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসকে তারা নিশ্চিহ্ন না করে যে ছাড়বে না, এমনটা বহু আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে ইজরায়েল। তাই আকাশপথে হামলার পাশাপাশি গাজা সীমান্ত পার করে স্থলপথেও সে প্রদেশে ঢুকে প্রহার শুরু করেছে সেনা। এয়ারস্ট্রাইক করে তো ধ্বংসলীলা আগেই চালিয়েছে ইজরায়েল, এবার গাজার ঘরে ঘরে ঢুকে হামাস বাহিনীর সদস্য খুঁজছে তারা। লক্ষ্য একটাই, হত্যা।
ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস সম্প্রতি দাবি করেছিল, হামাস গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজনকে তারা খতম করেছে এবং কিছুজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিন সকালে আবার দাবি করা হয়, হামাসের শীর্ষ এক নেতার মৃত্যু ঘটেছে তাদের হামলায়। ইজরায়েল স্পষ্ট জানিয়েছিল, হামাস যাদের অপহরণ করেছে তাদের ফিরিয়ে না দিলে আরও ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাত হানবে তারা। আপাতত যে বিষয়টি সেই দিকেই এগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। গতকালই গাজা প্রদেশের ১০ লক্ষ মানুষকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল। তাদের অনেকেই আজ একে একে এলাকা ছেড়েছেন। তারপরই শুরু হয়েছে ইজরায়েলের হামাস-নিধন।
ইতিমধ্যে যা খবর মিলছে তা হল, সীমান্ত পেরিয়ে গাজা ভূখণ্ডে ঢুকে জোরদার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। হামাসকে খতম করা তাদের যেমন লক্ষ্য, ঠিক তেমনই তাদের হাতে বন্দি ইজরায়েলি নাগরিকদেরও উদ্ধারের কাজ চালাবে সেনার দল। ইজরায়েলের তরফে গাজায় যুদ্ধক্ষেত্রের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আইডিএফ-এর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে হামাস গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে, পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালাচ্ছে হামাস। গাজার একটি সমুদ্র সৈকতের কাছের ঘাঁটি থেকে ইজরায়েলের যুদ্ধ বিমানে হামলা করছে তারা। বিমান থেকেই তার ভিডিও করছে আইডিএফ।