প্যানডেমিক বদলে দিয়েছে চাকরির ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও!

স্বাস্থ্য তো বটেই, করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলেছে কর্মসংস্থান, মানুষের সাধারণ জীবনযাপনে।

নিউইয়র্ক: করোনাভাইরাস অতিমারি গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। থমকে গিয়েছিল গোটা দুনিয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া। স্বাস্থ্য তো বটেই, করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলেছে কর্মসংস্থান, মানুষের সাধারণ জীবনযাপনে। এই পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে চাকরির ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে আলোকপাত করেছে। দেখা যাচ্ছে, চাকরির ইন্টারভিউতে আগে যেরকম পার্সোনাল ইন্টারভিউ বা লিখিত পরীক্ষা হত, এখন তা হচ্ছে না। ডিজিটাল মাধ্যম এর সহায়তায় অনলাইন প্রক্রিয়াতে চাকরির ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে একেবারে অন্যরকম।

আগে যেমন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে লিখিত পরীক্ষা দিতে হত, এখন সেই পরীক্ষা দিতে হলেও পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় বদল ঘটেছে। এখন ভিডিও রেকর্ড এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হচ্ছে, অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বর্ণনা করার জন্য অনলাইনেই প্রশ্ন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পার্সোনাল ইন্টারভিউটা পুরো হয়ে গেছে অনলাইন ইন্টারভিউ। ফোনে কথা বলে বা ভিডিও চ্যাট করে চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে তার ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুধুমাত্র কয়েকটি কাজের ক্ষেত্রে নয়, বেশিরভাগ কাজের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে। এক কথায় বলা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পার্সোনাল ইন্টারভিউয়ের রেওয়াজটাই এখন তুলে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেইলে। নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্নপত্রের উত্তর গুলি সাবমিট করার জন্য। মার্কিন এক সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী এ বছর, প্রায় ৬০ শতাংশ ইন্টারভিউ হয়েছে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে। যার মধ্যে ৪০ শতাংশ ইন্টারভিউ সংঘটিত হয়েছে রবিবার। হঠাৎ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে তথাকথিত ছুটির দিন রবিবার কাজ করতে হচ্ছে অনেক কর্মীকে।অন্যদিকে, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে করতে দিন প্রতি ‘অফিস টাইম’ একটু একটু করে বাড়ছে বিশ্ববাসীর। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েক মিনিট বেশি প্রত্যেকদিন কাজ করতে হচ্ছে কর্মচারীদের। এইভাবে সারা সপ্তাহের সময়ের যোগফল মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে কর্মচারীরা নিজের অজান্তেই হয়তো একদিন এক্সট্রা কাজ করে ফেলেছেন! অর্থাৎ সপ্তাহে একদিন ছুটি শুধু খাতায়-কলমে হয়ে যাচ্ছে। সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে, একমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় দিন প্রতি কাজের সময় বেড়েছে সবচেয়ে কম, ,৭ মিনিট। কিন্তু আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারতে দৈনিক কাজের সময় বেড়ে গেছে ৩২ মিনিট! অর্থাৎ ঠিকভাবে হিসাব করলে, মাসে প্রায় ১৪ ঘন্টা কাজ বেড়ে গেছে কর্মচারীদের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − six =