রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগ, মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে ইমরান খানের, জানাল আদালত

লাহোর: তোষাখানা মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় তোষাখানায় থাকা দামি উপহার বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে৷ এই সব উপহার আসলে দেশের সম্পত্তি৷ সোমবার ইসলামাবাদের আদালতে পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ইমরানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে৷ সেখানে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগের সাপেক্ষে তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। ইমরানের আইনজীবী উমর নিয়াজি জানিয়েছেন, পাকিস্তান ফৌজদারি দণ্ডবিধির যে ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে ন্যূনতম সাজা যাবজ্জীবন কারাবাস, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড৷
পাক আদালত সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই নতুন মামলায় শুনানি শুরু হবে। ইমরানের সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশিকেও।সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, গত বছর সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে ক্ষমতা হারান ইমরান খান৷ তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি আমেরিকার দাদাগিরি না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও আমেরিকা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়৷ এর পরেই ইমরান ওয়াশিংটনের পাক রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটি অত্যন্ত গোপনীয় বার্তা ফাঁস করে দেন। যেখানে পাকিস্তান সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনের মনোভাব নিয়ে বেশ কিছু স্পর্শকাতর তথ্য ছিল।
ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই পাকিস্তান সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে মামলা রুজু করে। সেই মামলায় তদন্ত শেষে ইমরান ও তাঁর সরকারের বিদেশ মন্ত্রী কুরেশির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সে দেশের তদন্তকারী সংস্থা৷