ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এবার হাসপাতাল ভাঙতে বুলডোজার! যুক্তি দিচ্ছে ইজরায়েল

গাজা: বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ, জ্বালানির অভাব... সব মিলিয়ে ইজরায়েলি হামলায় গাজার অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতম হচ্ছে। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেখানকার হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই গাজার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের দাবি, বহু হাসপাতাল আসলে হামাসের গোপন ডেরা। হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে তাদের অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এই দাবি কতটা সত্য তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বরং হাসপাতালে হামলার জন্য বহু রোগী যাদের মধ্যে শিশুরাও আছে, তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
শেষ কয়েকদিনে একাধিক ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে হামলা হওয়ার দরুন সদ্যোজাতদের এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে সামান্য উত্তাপের জন্য। সম্প্রতি আল শিফা হাসপাতালে তিন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ওই হাসপাতালে এবার বুলডোজার ঢুকিয়ে দিয়েছে ইজরায়েল সেনা। তাদের দাবি, হাসপাতালের নীচ থেকে একটি গোপন সুড়ঙ্গের হদিস পাওয়া গিয়েছে, যা হামাসের এক শীর্ষনেতার বাড়ির সঙ্গে যুক্ত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গোটা হাসপাতালই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারে আইডিএফ। তাহলে যে শিশু তথা রোগী মৃত্যু আরও বাড়বে তা আলাদা করে বলতে হবে না।
দিন কয়েক আগেই উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে আঘাত হেনেছে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া অন্য এক শিশু হাসপাতালেও তারা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। স্বশাসিত প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এমতাবস্থায় গাজার অন্তত ২০টি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।