বিশেষ প্রতিবেদন: ‘Friday the 13th’! এই তারিখ এলে আর এই নাম শুনলে ভয় পান না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। পৃথিবীর বহু মানুষ এই তারিখটিকে ভাল চোখে দেখেন না, ভয় পান রীতিমত। রূপোলি পর্দাতেও এই নিয়ে ছবি হয়েছে। হলিউড মুভি ‘Friday the 13th’ যারা দেখেছেন তারা মনে রেখেছেন ফ্রেডি-জেসনের টক্কর, কী ভাবে তাদের আতঙ্কে ঘুম উড়িয়েছিল সকলের। তবে খুব একটা বেশি লোক জানেন না এই ‘Friday the 13th’-এর ইতিহাস। কেন এই তারিখকে ভয়ঙ্কর ভাবা হয়? সবাই কি একে ভয় পায়? ‘Friday the 13th’-এর মতো আরও ভয়ানক তারিখ কি রয়েছে পৃথিবীতে? আদৌ ভয় পাওয়ার কিছু আছে কি এই তারিখ নিয়ে, নাকি পুরোটাই মানসিক?
অ্যাশভিলের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড ফোবিয়া ইন্সস্টিটিউট বলছে, এই ‘Friday the 13th’-এর ভয় গোটা আমেরিকার ২১ মিলিয়ন মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে। সুতরাং বলা যায়, এই ভয় কোনও রকম কাল্পনিক বা সিনেমার চিত্রনাট্যের মত বিষয় নয়। এদিকে, ১৩ সংখ্যাকে ভয় পান এমন মানুষের সংখ্যা কম কিছু নেই। এই ভয়ের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘triskaidekaphobia’। একই সঙ্গে ‘Friday the 13th’-কে ভয় পাওয়ার বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ‘paraskevidekatriaphobia’।
তবে, শুধু ‘Friday the 13th’-কে গোটা বিশ্বের সব জায়গায় ভয়ঙ্কর হিসেবে ধরা হয় না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ১৩ তারিখ যদি মঙ্গলবার পড়ে, তাহলে সেটাকে ভয় পায়। অর্থাৎ ‘Tuesday the 13th’। তারা ১৩ সংখ্যাকে অশুভ বলে মনে করে। অন্যদিকে, ইতালির বহু মানুষ ১৭ তারিখকে অশুভ বলে মনে করে। সেইক্ষেত্রে শুক্রবার যদি ১৭ তারিখ পড়ে অর্থাৎ ‘Friday the 17th’-কে ভয় পায় তারা।
NASA-র দাবি, ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল এক বিশাল মাপের গ্রহাণু যার নাম ‘অ্যাস্টেরয়ড ২০০৪’ সেটি পৃথিবীর প্রচণ্ড কাছ দিয়ে যাবে। কিন্তু পৃথিবীকে কোনও আঘাত করবে না। অবাক করার বিষয়, সেই দিনটি আবার ‘Friday the 13th’! তবে সারা বছরই থাকে এই ‘Friday the 13th’-এর ভয়। বছরে ন্যূনতম একবার হলেও এই দিন আসে। তবে কোনও কোনও বছর একাধিকবার আসতে পারে এই ‘Friday the 13th’। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং নভেম্বর, এই তিন মাসে এই তারিখ এসেছিল। ওহ ভাল কথা, আজই ‘Friday the 13th’।