জেনেভা: আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালেই করোনার ভ্যাকসিন পাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনটা মনে করা হচ্ছে৷ সেই মত কীভাবে তা ভারতে বিলি করা হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করে ফেলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ তবে স্বাস্থ্যকর তরুণ- তরুণীদের এই ভ্যাকসিন নেওয়া জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২২ সাল পর্যন্ত৷ এমনটাই জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO- র তরফ থেকে৷
হু এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য সামিনাথন জানিয়েছেন, বেশিরভাগ লোক সম্মত হয়েছেন যে এটি স্বাস্থ্য কর্মী এবং ফ্রন্ট-লাইন কর্মীদের আগে দেওয়া হবে, তবে সেখানেও আপনাদের দেখতে হবে কাদের শরীরের জন্য এই ভ্যাকসিন বেশি প্রয়োজন৷ এবং তারপরে যারা প্রবীণ রয়েছেন তাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন৷ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথনের মতে, যাদের স্বাস্থ্য ভালো এবং তরুণ যেসব মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি সুস্থ সবল তাদের পরে দেওয়া যেতে পারে কোভিডের ভ্যাকসিন৷
একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন বেরোনোর পর অনেক দিকনির্দেশনা করা হবে, তবে আমি মনে করি একজন সুস্বাস্থ্যবান যুবককে একটি টিকা দেওয়ার জন্য ২০২২ অবধি অপেক্ষা করতে হবে৷ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মধ্যে কমপক্ষে একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তবে এটি “সীমিত পরিমাণে” উপলব্ধ হবে এবং তাই এক্ষেত্রে দুর্বল লোকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকেই ভাবছে থাকে যে জানুয়ারীর প্রথম বা এপ্রিলের প্রথম দিকে সে ভ্যাকসিনটি নিয়ে নেবে, এবং এরপরে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷ তবে তেমনটাই হবে না৷
চিন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলি যারা ভ্যাকসিন ডোজ দিয়ে জনসংখ্যা পরিচালনা করে আসছে তারাও ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকারের ধরণটি অনুসরণ করছে। খবরে বলা হয়েছে, চীন জুলাই মাসে তার সেনাবাহিনীকে টিকা দিয়েছে এবং এখন সরকারী কর্মকর্তা ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দিচ্ছে। রাশিয়া প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সম্প্রতি জানিয়েছে যে কারা ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার পাবে তার রূপরেখা ঠিক করে ফেলেছেন তারা৷ জানানো হয়েছিল যারা এই ভ্যাকসিন কিনতে সক্ষম তাদের বদলে যাদের এই ভ্যাকসিন বেশি প্রয়োজন তারাই তা আগে পাবে৷