প্যারিস: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করতেই মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ এবং আমেরিকা৷ এই অবস্থায় ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার একটি পণ্যবাহী জাহাজ আটকাল ফ্রান্স৷
আরও পড়ুন- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছিলেন! রাশিয়ার বিরুদ্ধে বন্দুক হাতে সেই ২৬-এর সাংসদ
এদিন টহলদারির সময় রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজটি নজরে আসে ফরাসি নৌবাহিনীর। ওই জাহাজে রুশ পতাকা দেখামাত্রই নাবিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ এর পরেই গাড়িভর্তি জাহাজটিকে নিয়ে আসা হয় ফ্রান্সের বুঁরল সুর মের বন্দরে। রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত থেকেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷
রুশ কার্গো জাহাজটি ৪১৬ ফুট লম্বা। নাম ‘বাল্টিক লিডার’৷ ফ্রান্সের নরমান্ডি এলাকার একটি বন্দর থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল কার্গোটি। ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে যাওয়ার সময় সেটিকে আটকানো ফ্রান্সেরই কাছে একটি জায়গায় আটকানো হয়৷ এই জাহাজে থাকা পণ্য পরিবহনের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই তদন্ত করা হবে৷ আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে জড়িত এমন কোনও জাহাজ দেখলেই নৌবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে বলে নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স সরকার৷ ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই জাহাজটি গাড়ি বোঝাই রয়েছে৷ এবং এটি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান৷
রাজনৈতিক সংঘাত থেকে সম্মুখ সমরে দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন৷ বৃহস্পতিবার ভোরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করতেই বিশ্বের একাধিক দেশ নিন্দায় মুখর হয়। বহু দেশ শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানায়৷ সরাসরি ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে সাহায্য না করলেও নানাভাবে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই সঙ্গে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্তও নেয় তারা৷ সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও রাশিয়াকে আর্থিকভাবে ধাক্কা দেওয়াই মূল লক্ষ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>