হোয়াইট হাউজে দিওয়ালির গ্র্যান্ড ‘সেলিব্রেশন’! বলিউড মিউজিক আর ভারতীয় খাওয়ায় মাতলেন বাইডেন

হোয়াইট হাউজে দিওয়ালির গ্র্যান্ড ‘সেলিব্রেশন’! বলিউড মিউজিক আর ভারতীয় খাওয়ায় মাতলেন বাইডেন

ওয়াশিংটন: অমাবস্যার রাতে আলোর উৎসব৷ দিওয়ালির রাতে আলোয় আলোয় সেজে ওঠে গোটা দেশ৷ প্রতিটি ঘরে জ্বলে ওঠে প্রদীপ৷ আকাশে আতসবাজির ঝলক৷ তবে এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আলোর উৎসব আমেরিকাতেও৷ সোমবার হোয়াইট হাউসে পালিত হল গ্র্যান্ড দিওয়ালি৷ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। এর আগেও অবশ্য মার্কিন মুলুকে দিওয়ালির উৎসব পালিত হয়েছে৷ তবে এই প্রথম এত ধুমধাম করে হোয়াইট হাউসে দিওয়ালির আয়োজন করা হল। সাদা বাড়ির প্রতিটি কোনায় প্রজ্বলিত হল প্রদীপের আলোয়৷ 

আরও পড়ুন- গীতা ছুঁয়ে নিয়েছিলেন শপথ, এ বারেও কি সেই পথে হাঁটবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক?

এদিন দিওয়ালির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট  কমলা হ্যারিস সহ বিশিষ্ট জনেরা।  হোয়াইট হাউসের তরফে শেয়ার করা একটি ছবিতে বাইডেন দম্পতিকে প্রদীপ জ্বালাতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের রিটুইট করা একটি ভিডিওতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আতশবাজি ফাটাতেও দেখা গিয়েছে। এদিন ২০০ জন ভারতীয়কে হোয়াইট হাউজের দিওয়ালি পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল সাদা বাড়ির অন্দরে। দিওয়ালির সন্ধ্যা মেতে ওঠে সেতারবাদক ঋষভ শর্মার সুরে৷ আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের বহু দিনের দাবি মেনে দিওয়ালি উপলক্ষে আমেরিকার স্কুলেও ছুটি ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন।প্রসঙ্গত,  নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী ২ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ এবং জৈন ধর্মালম্বীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷ 

এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কোভিড পরবর্তী সময়ে আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি করেছেন তিনি। 

অন্যদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমলা হ্যারিস বলেন, “আজ সারা বিশ্বে কোটি কোটি  মানুষ  প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোর উৎসব পালন করছেন। অজ্ঞতার বিরুদ্ধে জ্ঞান এবং অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর এই উৎসবে সামিল থাকতে পেরে আমি গর্বিত”।

তিনি আরও বলেন, ‘‘ দিওয়ালির এই আলো আমাদের অন্ধকার পরিস্থিতির বিরুদ্ধে, শান্তি ও ন্যায়ের জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দিওয়ালির দিনে এই বিশ্বে যাবতীয় ইতিবাচক বিষয়গুলির দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। অশুভ শক্তি  আমাদের হিংসার দিকে ঠেলে দিতে চাইলেও,  আমরা যেন আমাদের শুভবুদ্ধি, শুভচিন্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি।”