ঢাকা: মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের। কোরানের অপমান হয়েছে এই অভিযোগ তুলে সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর ও একই সঙ্গে মন্দির ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। দেশের একাধিক জেলায় উত্তেজনার ছবি ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ তো উত্তপ্তই, আজ ছড়িয়ে পড়েছে এবার বাংলাতেও, ভারতেও। যারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর সরকার। ইতিমধ্যেই হিংসা কবলিত এলাকায় পুলিশ কর্তাদের বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, যে সমস্ত জেলা হিংসা কবলিত সেখানকার পুলিশ প্রধানের বদলি করা হয়েছে। এই সমস্ত জেলার মধ্যে রয়েছে রংপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী। এই সমস্ত জেলাগুলিতে ক্রমাগতভাবে অত্যাচারিত হচ্ছিল সংখ্যালঘু হিন্দুরা তাই কড়া ব্যবস্থা নিয়ে এই জেলার পুলিশ কর্তাদের বদলি করেছে হাসিনা সরকার। আগেই জানা গিয়েছিল যে বাংলাদেশের ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও হিংসার ঘটনার সংখ্যা কমানো যায়নি, তাই এই পদক্ষেপ। পুজোর মধ্যে থেকেই বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে এবং একাধিক জায়গায় দুর্গা মূর্তি এবং মণ্ডপ ভাঙা হয়েছে। এমনকি নোয়াখালীতে ইসকন মন্দিরের উপরে হামলা করা হয় এবং সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই একাধিক হামলার ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে যে দুষ্কৃতীরা বড় বড় আবাসনের দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করছে এবং একাধিক দুর্গা মণ্ডপে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
এদিকে, বাংলাদেশে দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ও প্ররোচনামূলক৷ এমনই দাবি করেছেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান৷ তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করাই ছিল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য৷ এর নেপথ্যে কারও কায়েমি স্বার্থ বলেই মনে করছে বাংলাদেশ সরকার৷ প্রমাণ মিললেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে৷ দোষীদের দৃষ্টান্তমূবলক শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান৷