ঢাকা: অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক স্তরে বাড়ছে স্বীকৃতির বহর। কিন্ত, বিশ্ববাজারের ডামাডোল। যার কমবেশি প্রভাব টের পেয়েছেন প্রায় সব দেশ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম৷ যা প্রভাবিত করছে করছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকেও। অর্থনৈতিক মন্দার আগুনে জ্বলছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশ৷ চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল অর্থনীতির অন্যতম ধ্বজাধারী ভারতকে নিয়েও৷ টাকার দামের লগাতার পতন ঘটছে পড়শি বংলাদেশেও৷ শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও চড়া ডলারের দাম৷ টাকার দামের এই পতনে দেখা দিয়েছে বাণিজ্য ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে অন্ধের যষ্ঠি সেই চিন। চিনা ঋণের বোঝায় ধসে পড়া শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি শিক্ষা দিয়ে গেলেও, তা উপেক্ষা করতে এর প্রকার বাধ্য হচ্ছে ঢাকা৷
আরও পড়ুন- হৃদযন্ত্রদাতার বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে! অবিকল একভাবে মৃত্যু হয় গ্রহীতার, এ এক গভীর রহস্য
ডলার সাপেক্ষে টাকার দাম ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে৷ আর কতটা নামবে? ভারতজুড়ে টাকার দাম নিয়ে যখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তখন দিশেবারা পড়শি বাংলাদেশর অর্থনীতির হাল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ডলার সাপেক্ষে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ পতন ঘটেছে বাংলাদেশের টাকার৷ ক্রমেই বাড়ছে মন্দার আশঙ্কা। ধীরে ধীরে প্রায় গোটা এশিয়াকেই যেন গ্রাস করছে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা৷ এদিকে, দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধী নিশানায় পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি IMF এর থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন তিনি৷ যা বিরোধী আন্দোলনের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে৷
এদিকে ডলার চিন্তায় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক- বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। কী কী পরিবর্তন আনা হয়েছে? নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুধু ডলার নয়, ইউয়ানেও (চিনা মুদ্রা) লেনদেন করা যাবে৷ বিশেষত চিনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘বাণিজ্য সম্ভাবনা বৃদ্ধির লক্ষে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শাখার অ্যাকাউন্টে ইউয়ান জমা রাখা যাবে।” কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ-চিন চেম্বার অফ কমার্স। সংস্থার যুগ্মসচিব মামুন মৃধা জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই চিনা মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠছিল। চিনের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইউয়ানকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত উপকারী হতে চলেছে।”
অর্থনীতির কারবারিরা জানাচ্ছেন, চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইউয়ানের ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশকে আর কনভার্সন ফি দিতে হবে না৷ পাশাপাশি বেজিং থেকে আমদানিকৃত খরচও ন্যূনতম ১০ শতাংশ কমানোর সুযোগ পাবে ঢাকা৷
,
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>