ইস্তানবুল: সোমবার ভোরবেলাতেই ভয়ঙ্করভাবে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত চলছে মৃতদেহ গোনার কাজ! মৃতের সংখ্যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে আবারও একবার কম্পন অনুভূত হল দেশে। সকালের মতোই তীব্র ঝাঁকুনি হয়েছে তুরস্কে, তবে দেশের অন্য এক প্রান্তে। এই নিয়ে এখন নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হল।
আরও পড়ুন- চিনের ‘স্পাই’ বেলুন ঘিরে রহস্য, অবশেষে গুলি করে নামাল আমেরিকা!
প্রথমে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্প হয়েছিল। এবার হয়েছে দেশের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত এবং প্রতিবেশী সিরিয়ারও কিছু কিছু এলাকা। দ্বিতীয় ভূমিকম্পের তীব্রতাও খুব একটা কম ছিল না। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। অনেকেই এটাকে ‘আফটার শক’ হিসেবে ভাবছে। আতঙ্কের এটাই যে প্রথম কম্পনের পর দ্বিতীয় কম্পনও এতটাই তীব্র হয়েছে। যদিও একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, সকালের প্রথম ভূমিকম্পের ১৫-২০ মিনিট পর একটি হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই হিসেবে এটি তৃতীয় কম্পন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”আরও ১২টি নতুন চাঁদের হদিশ! 12 new moons discovered orbiting around Jupiter” width=”853″>
মারাত্মক কম্পনের পর এখন উদ্ধারকাজ চলছে। বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসস্তূপের নীচে মানুষ চাপা পড়ে আছে বলেই আশঙ্কা। সেই প্রেক্ষিতেই ভাবা হচ্ছে যে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তুরস্ক এবং সিরিয়া মিলেয়ে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে তুরস্ক, প্রায় ৯০০ এবং সিরিয়াতে মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩০০। এছাড়া দুই দেশের হাসপাতালগুলিতে মৃতদেহ উপচে পড়ার পাশাপাশি বাড়ছে আহতের সংখ্যাও।