মস্কো: রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ কোথায় তা জানা নেই। যুদ্ধে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার অবস্থায় চলে এসেছিল ইউক্রেন কিন্তু তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে যা জানা গেল তা বিস্ফোরক। আসলে নাকি ইউক্রেন আক্রমণ করতেই চাননি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর মতলব ছিল অন্য এক দ্বীপ-দেশকে নিশানা করা। কিন্তু তা না করে ইউক্রেনে হামলা চালান তিনি। তাহলে কোন দেশকে দখল করতে চেয়েছিল রাশিয়ান বাহিনী? এই তথ্য দিয়েছে খোদ রুশ গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে সরু বহুতলের নির্মাণ কাজ শেষ, রয়েছে চোখ ধাঁধানো ব্যবস্থা
আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া আদতে জাপানের ওপর হামলা করতে চেয়েছিল! কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে ইউক্রেনে হানা দেয় রুশ বাহিনী। যদিও এই কেন সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। আর এই দাবি করেছেন রুশ গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে আরও জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে এই রুশ এজেন্ট তাঁর দেশেরই এক মানবাধিকার কর্মীকে চিঠি দিয়ে এই কথা জানান। তবে রাশিয়ান বাহিনীর ভয়ে আপাতত তিনি দেশ ছাড়া। পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ওই এজেন্ট এবং মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বাথরুমে রাখুন নীল রঙের মগ! Bathroom etiquettes as per Vastu” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে জাপানের হামলার ছক কষছিলেন পুতিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে অন্য এক সমীকরণ। আসলে জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপ ও রাশিয়ার কামাচাতকা উপদ্বীপের মধ্যে অবস্থিত কুরিল দ্বীপ নিয়ে বিবাদ রয়েছে দুই দেশের। রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ওই দ্বীপ দখল করে রেখেছে এবং তা এখনও করে রাখতে চায়। এদিকে জাপানে মজুত রয়েছে হাজার হাজার মার্কিন সেনা। তাই আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাওয়ার আগে ইউক্রেনে হামলা করে পুতিন বাহিনী আদতে আমেরিকার শক্তি পরীক্ষা করে নিয়েছে।