ইসলামাবাদ: পাকিস্তানকে দুই বোনকে নির্মম অত্যাচার করে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পাকিস্তান পঞ্জাব প্রদেশের নাঠিয়া গ্রামে হয়েছে। মৃত দুই তরুণীর নাম আরুজ আব্বাস (২১) ও আনিশা আব্বাস (২৩)। তাঁরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হলেও স্পেনের নাগরিক। তুতো ভাইয়ের সঙ্গে ওই দুই তরুণীকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। এই বিয়েতে তাঁরা মোটেই খুশি ছিলেন না। অন্যদিকে, দুই তরুণীর স্বামীরা স্পেনে যেতে চাইছিলেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, তাঁরা সেই কারণেই এই তুতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দুই বোন তাঁদের স্বামীদের ভিসার জন্য কোনও রকম চেষ্টা করছিলেন না। সেই কারণে প্রায়শই তাঁদের ওপর মারধর করা হতো। সেখান থেকেই ওই দুই তরুণীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুই তরুণীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই দুই তরুণীর দাদা, এক কাকা, দুই স্বামী, এক তুতো ভাই ও দুই শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ও আরও এক আত্মীয়র বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানে জোর করে বিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যায় প্রায়শই। বিদেশের নাগরিকত্ব পেতে অনেক সময় জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও পরিবারের কথা না শোনার অপরাধে, পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার অপরাধে তাঁদের মেরে ফেলার ঘটনা প্রায়শই সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নেয়। পাকিস্তানের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সে দেশে প্রতি বছর এক হাজার তরুণী সম্মান রক্ষার্থে খুন বা অনার কিলিংয়ের শিকার হন।