বিশ্বজুড়ে ফের শুরু হয়েছে করোনার বাড় বাড়ন্ত। ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি, ব্রাজিল, চীন, তাইওয়ানের মতো বহু দেশে ফের মাত্রাছাড়া হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের মতো বহু দেশে দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি একটু একটু করে বাড়ছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। মূলত সেই কারণেই এবার নড়েচড়ে বসেছে স্বয়ং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর দাবী বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে দূর দূরান্তেও এই মহামারী শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। উল্টে করোনার এই নতুন ঢেউয়ে ফের একটু একটু করে বাড়ছে মৃত্যু।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ভারতসহ সমগ্র বিশ্বের করোনা গ্রাফ নিয়ে বার্তা দিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন হু প্রধান ট্রেডস আধামস ঘেব্রেইসাস। মঙ্গলবার তিনি বিশ্ববাসীকে আরো একবার সতর্ক করে জানিয়েছেন, কোরোনার দাপট প্রায় তিন বছর ধরে চলার পরেও একের পর এক নয়া স্ট্রেনের উৎপত্তি সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। মূলত সেই কারণেই এই ভাইরাসকে নিয়ে নতুন করে চিন্তা বাড়ছে। তিনি আরো জানিয়েছেন বর্তমানে ভারত ও বিশ্বের যে দশটি দেশে নতুন করে করোনার উপদ্রব শুরু হয়েছে তার জন্য মূলত দায়ী নতুন কোভিড স্ট্রেন BA.2.75। এছাড়াও ওমিক্রমের দুই সাব ভেরিয়েন্ট BA.4 ও BA.5-এর কারণেই আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি এখনো গবেষণা সাপেক্ষ। ওমিক্রণের এই সাব ভ্যারিয়েন্টের কারণেই যে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে এই মহামারী সে বিষয়ে এখনও কোনও জোরালো প্রমাণ মেলেনি।
তবে ইংল্যান্ডের জুন মাসের হিসাব বলছে, এই মুহূর্তে ওই দেশের ২৫ মধ্যে একজন করোনা পজেটিভ। সেক্ষেত্রে আগে একবার যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তারা ফের নতুন করে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হচ্ছেন। তবে যেহেতু করোনার টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে তাই এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে করোনার মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে একা ইংল্যান্ড নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে গত দুই সপ্তাহে গোটা বিশ্বে করোনার মোট সংক্রমণ প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপ এবং আমেরিকার পাশাপাশি ভারতে করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েয়েন্টের কারণে চিন্তা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গেই হু প্রধান জানিয়েছেন ভারতে পাওয়া নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপরও নজরদারি চালাচ্ছে গবেষক মহল। তাই এটি কতটা সংক্রামক তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।