নয়াদিল্লি: গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেনের মাটিতে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান৷ যুদ্ধ শুরুর আট মাস পরেও থামেনি যুদ্ধের আগুন৷ এরই মধ্যে রুশভাষী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের চার অঞ্চল খেরসন, ঝাপোজ্জিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে আনা খসড়া নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। তবে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ফুটবল মাঠের সংঘর্ষে মৃত বাড়ল অনেক! মর্মান্তিক ছবি কাঁদাবে
৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার একটি ঘোষণায় পুতিন বলেন, ইউক্রেনের অধীনে থাকা এই চারটি অঞ্চলের মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ফলাফল সকলেরই জানা৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিশ্চিত, ফেডারেল অ্যাসেম্বলি রাশিয়ার চারটি নতুন অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্তির বিষয়কে সমর্থন করবে৷ কারণ এটাই লাখ লাখ মানুষের ইচ্ছা।’’
এদিকে, শুক্রবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে আনা খসড়া নিন্দা প্রস্তাবে ভোটে দেয় রাশিয়া৷ ওই নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত রাশিয়া নিয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে৷ কারণ এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি৷ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আকাশ ছোঁয়া। অগণিত মৃত্যু৷ সম্পত্তিহানী৷ যুদ্ধ কবে শেষ হবে সেটাই এখন জানাতে চায় গোটা দুনিয়া। এই ক’মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রতিবারই ভারত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ভোটদানে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত৷
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন ফেলে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের দখলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই প্রসঙ্গে ভোটাভুটিতে অংশ না নিলেও রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজি বলেন, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিরক্ত নয়াদিল্লি। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি প্রাণের বিনিময়ে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। অবিলম্বে হিংসা বন্ধের জন্য সব পক্ষের এগিয়ে আসা উচিত৷ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>