মস্কো: এক মাস অতিক্রান্ত৷ এখনও যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ইউক্রেন৷ এদিকে, সেনা অভিযান শুরু হতেই রাশিয়াকে কার্যত বয়কট করেছে পশ্চিমের দেশগুলি৷ এমনকী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গদিচ্যুত করার কথাও হুঙ্কারও দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ কিন্তু চাপের মুখে পিছু হঠল ওয়াশিংটন৷ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন৷ তিনি বলেন, রাশিয়ার গদি পরিবর্তন করার কোনও উদ্দেশ্য আমেরিকার নেই।
আরও পড়ুন- দেশ বাঁচাতে রুশ সেনাকে মারতে তৈরি ইউক্রেনের মেয়েরা!
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেই কিয়েভের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা। যুদ্ধ থামানোর জন্য বারবার রাশিয়াকে অনুরোধও জানানো হয়৷ যদিও সেই আর্জিতে কর্ণপাতও করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার পোল্যান্ড সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুঙ্কার দেন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ওয়ারসের রাজপ্রাসাদে দাঁড়িয়ে বাইডেনের হুমকি, ‘‘পুতিন কসাইয়ের মতো আচরণ করছেন। ওঁর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।’
পাশাপাশি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে মস্কোর কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বাইডেনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা সোচ্চার হয় রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকি উড়িয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়ার মসনদে কে থাকবেন, বাইডেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে সে দেশের মানুষ।
রাশিয়ার কূটনৈতিক জবাবের পরেই সুর নরম করে হোয়াইট হাউস।
জেরুজালেম সফররত মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন বাইডেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট আসলে বলতে চেয়েছিলেন, পুতিনকে এভাবে ইউক্রেন বা অন্য কোনও দেশের উপর এভাবে সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেওয়া যায় না। আমরা এর আগেও বহুবার বলেছি রাশিয়া বা অন্য কোনও দেশের শাসক পরিবর্তন করার কোনও ক্ষমতা আমাদের নেই। রাশিয়ার মানুষই তাঁদের নেতৃত্ব নির্বাচন করবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>