‘বুঝতে পারি আমরা সুরক্ষিত নই, কী ভাবে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচিয়েছিলেন জেলেনস্কি?

‘বুঝতে পারি আমরা সুরক্ষিত নই, কী ভাবে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচিয়েছিলেন জেলেনস্কি?

কিয়েভ: দু’মাস অতিক্রান্ত৷ অথচ যুদ্ধ থামার কোনও নামগন্ধ নেই৷ বরং বেড়েছে বীভৎসতা৷ রুশ আক্রমণে ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের একের পর এক শহর৷ গত ৬৬ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ৷ যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা আগেও একাধিকবার তুলে ধরেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ এবার তিনি জানালেন কী ভাবে রুশ সেনার হাত থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করেছিলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ইউক্রেন যুদ্ধে মৃত মার্কিন যুবক, নাগরিকদের ফের সতর্ক করল আমেরিকা

টাইমস ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, আর একটু হলেই রুশ সেনার হাতে ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি ও তাঁর পরিবার৷ তাঁর বর্ণনায়, ‘‘একদিন সকালে বাধ্য হয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ওলেনা আমার ১৭ বছরের মেয়ে ও ৯ বছরের ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে দিই৷ শুধু এটা জানাতে যে, মিসাইল হানা শুরু হয়েছে৷ চারিদিকে বিকট শব্দে ক্রমাগত বিস্ফোরণ হচ্ছিল৷’’ জেলেনস্কি জানান, রুশ সেনা তাঁর পরিবারকে টার্গেট করেছিল৷ এই বিষয়টা কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়৷ তিন বুঝে যান প্রেসিডেন্ট প্যালেস আর সুরক্ষিত নয়৷ তাঁর কাছে খবর আসে রাশিয়ার একটি বাহিনী প্যারাসুট নিয়ে কিয়েভে নেমেছে৷ তাঁদের লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারকে বন্দি করা অথবা মেরে ফেলা৷   

জেলেনস্কির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চিফ অফ স্টাফ আন্ড্রি ইয়েরমাকের বর্ণনাতেও উঠে আসে সেই রাতের বীভৎসতা৷ তিনি বলেন, ‘‘এর আগে এমন ভয়ানক দৃশ্য আমরা কেবল সিনেমাতেই দেখেছিলাম৷ প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে প্রেসিডেন্ট ভবনের পিছনের একটি দরজা পুলিশের ব্যারিকেড ও প্লাইউড বোর্ড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়৷ যেটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনও ভাঙাচোরা জিনিস৷’’

তিনি আরও জানান, ‘‘হামলার আন্দাজ পেয়েই গোটা প্রেসিডেন্ট ভবনের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়৷ নিরাপত্তারক্ষীরা বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলেন৷ প্রেসিডেন্ট ভবনের মধ্যে তখন হুলস্থূল৷ রুশ সেনা দু’বার প্রেসিডেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলেও জানান তিনি৷