নয়াদিল্লি: করোনার কারণে এতদিন অনেকেই নাইটক্লাব এবং সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেননি। কিন্তু আশায় বসে রয়েছেন কবে সব মিটবে আর নিজের পছন্দ মতো জায়গায় যাবেন। তাঁরা কিন্তু সচেতন হোন। কারণ বিশ্বজুড়ে নতুন করে করোন ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এই বয়সিদের আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এই খবর জানিয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে লক্ষাধিক সংক্রমণের একটি বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি লোকের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ৪.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইউরোপের মধ্যে স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্সে এবং এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে জাপানের মতো দেশে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই তরুণ। মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের জনস হপকিনস হাসপাতালের বায়ো কন্টেইনমেন্ট ইউনিটের নার্স ম্যানেজার নীসা আর্নস্ট জানিয়েছেন, “তরুণরা মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে কম সচেতন হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।” তিনি বলেন, ভ্রমণ করলে COVID-19 ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যুবক-যুবতীদের কাজ করতে বের হতে হয়। সময় কাটাতে তারা সৈকত বা পাবেও যায়। ফলে তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু দেশ ভ্রমণে নতুন করে প্রতিবন্ধকতা আরোপ করেছে। যার ফলে অনেক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমনকী ভিয়েতনামের মতো দেশ, জানুয়ারির শেষের দিকে করোনা ভাইরাস রোধ করার জন্য অনেক পদক্ষপ করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ৫-১৪ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ৮.৬% আক্রান্ত হয়েছিল। WHO জানিয়েছে, এই সময় পরীক্ষা বেড়েছে। এর মধ্যে আবার স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ফলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সংক্রামক রোগের শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফৌসি গত মাসে তরুণদের সামাজিকভাবে দূরত্ব অব্যাহত রাখতে, মাস্ক পরতে এবং ভিড় এড়াতে অনুরোধ করেন।