বেজিং: করোনা সংক্রমণের গোড়াতেই অভিযোগ উঠেছিল ইচ্ছাকৃত ভাবেই পরিবেশে ছড়ানো হয়েছিল কোভিড ভাইরাস। অভিযোগ তির ছিল চিনের বিরুদ্ধে৷ যদিও বেজিং স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে উড়িয়ে দিয়েছিল। ফের একবার সেই অভিযোগ উঠল চিনের বিরুদ্ধে৷ এবার অবশ্য চিনেরই এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অভিযোগ করলেন, লালফৌজের গবেষণাগার থেকে জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবেই ওই মারণ ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এই দাবি বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই একই দাবি করেন তিনি। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ লি-মেং ইয়ানকে প্রশ্ন করা হয়, উহানের বাজার নয়, লালফৌজের গবেষণাগারেই এই মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯-এর জন্ম, একথা তিনি কীসের ভিত্তিতে বলছেন। এর উত্তরে ওই চিনা বিজ্ঞানীর স্পষ্ট জবাব, ‘গত জানুয়ারি মাস থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে আমি সকলকে জানাতে শুরু করেছিলাম যে পিপলস লিবারেশন আর্মির গবেষণাগারেই জন্ম এই করোনা ভাইরাসের এবং জেনেশুনে ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিনের সরকার সব জানত।’
তাঁর দাবি, এই ভাইরাস তৈরি করতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছিল চিন এবং তা ছড়িয়ে দিয়েছিল পরিবেশে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়া এবং সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ দেশগুলির চিকিৎসা কাঠামোকে নড়বড়ে করে দেওয়া। লি-মেং ইয়ান দাবি করেছেন, তাঁর এই অভিযোগের সপক্ষে জোরলো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। সঙ্গে রয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যপ্রমাণও। এই সব প্রমাণ এমন অকাট্য যে চিনের পক্ষেও তা অস্বীকার করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন এই বিজ্ঞানী। কিন্তু তবু বেজিংয়ের তরফে এসবকে আড়াল করতে ভুয়ো প্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকে, এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। একে তৈরি করা হয়েছে চিনের গবেষণাগারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু সেই সময় এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিল। এবার খোদ চিনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে ক্রমেই চাঞ্চল্য বাড়ছে।