প্যারিস: নিজের চোখে দেখেছেন দু’দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং অতিমারি। কিন্তু জীবনের লড়াই থেকে বেরিয়ে আসেননি তিনি। মনোবল শক্ত করে টিকেছিলেন। দেখতে দেখতে ২০২৩ সাল চলে এসেছিল তাঁর জীবনে। তবে এবার তিনি থামলেন লড়াই থেকে। প্রয়াত ঘোষিত ভাবে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ, লুসিল হদোঁ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৮ বছর। তিনি ছিলেন ফ্রান্সের একজন সন্ন্যাসিনী এবং সেই দেশের এক হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন লুসিল।
আরও পড়ুন- উদ্ধার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স, জানেন তিন দশকে ২৭টি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নেপাল
১৯০৪ সালে দক্ষিণ ফ্রান্সে জন্ম হয়েছিল তাঁর। প্রথম জীবনে শিক্ষিকা এবং আয়া হিসেবে কাজ করেন লুসিল। কিন্তু তাঁর দৈনন্দিন জীবন একদম আরামে কাটেনি কারণ তাঁর জন্মের প্রায় এক দশক পর শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই সময়টাকে কোনও কাটিয়ে ওঠার কিছু বছর পর আবার এক বিশ্বযুদ্ধ, এটি দ্বিতীয়। এইসব কিছুর পর দীর্ঘ ১৮ বছর অনাথ শিশু এবং প্রবীণদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন লুসিল। পরবর্তী কালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। বলাই বাহুল্য, তিনি দুটি অতিমারিও দেখেছেন। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু এবং হালের ২০২০ সালের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ।
২০২২ সালে লুসিল যিনি সিস্টার আন্দ্রে নামেও পরিচিত ছিলেন, তাঁকে বিশ্বের প্রবীণতম মহিলা এবং প্রবীণতম মানুষ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও, জীবিত কালে দ্বিতীয় প্রবীণতম ফরাসি নাগরিক এবং দ্বিতীয় প্রবীণতম ইউরোপীয় ঘোষিত হন তিনি। শুধু তাই নয়, সন্ন্যাসিনী হিসেবেও সবচেয়ে প্রবীণতম হওয়ার রেকর্ড আছে তাঁর।