ওট্টাওয়া: কানাডার ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের উপকূলে মাটির তলা থেকে আবিষ্কার হল বহু প্রাচীন মেহগনিবৃক্ষের এক টুকরো জীবাশ্ম৷ এটিই বিশ্বের প্রাচীনতম মেহগনি জীবাশ্ম বলে মনে করা হচ্ছে৷
মেহগনি কাঠের জীবাশ্মখণ্ডটি ৮ কোটি বছর আগে ক্রিটেসিয়াস আমলের বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান৷ এর আগে মেহগনির অস্তিত্ব মিলেছিল ৬ কোটি বছর আগে, ডায়নোসর যুগ শেষ হওয়ার পর৷ আবিষ্কৃত নমুনাটির নাম দেওয়া হয়েছে ম্যানচেস্টারকার্পা ভ্যানকুভেরেন্সিস৷ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লোরিডা মিউজিয়াম অফ ন্যাচরাল হিস্ট্রি-র বিজ্ঞানী স্টিভ ম্যানচেস্টারকার্পাকে সম্মান জানিয়েই এই নামটি রাখা হয়েছে৷ ভ্যানকুভেরেন্সিস শব্দটি এসেছে এই জীবাশ্মটির অবস্থানের জন্য৷ মেহগনি ফল এবং বীজের ভিতরের একটি স্তর এখনও ফুটে রয়েছে জীবাশ্মের গায়ে৷
কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিওবোটানিস্ট ড. ব্রিন অ্যাটকিনসন বলেন, এই জীবাশ্মটি ৭২ মিলিয়ন থেকে ৭৯ মিলিয়ন বছর আগেকার৷ যে শিলার মধ্যে জীবাশ্মটি ছিল সম্প্রতি তা আবিষ্কার করেন স্থানীয় ফসিল হান্টার গ্রাহাম বিয়ার্ড৷ কোয়ালিকাম বিচ মিউজিয়াম অফ ন্যাচরাল হিস্ট্রির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তিনি৷ মেহগনি মূলত একটি ক্রান্তীয় উদ্ভিদ৷ এর লালচে খেয়েরি রংয়ের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় মূল্যবান আসবাবপত্র৷ আট কোটি বছর আগেও পৃথিবীর বুকে যে মেহগনির অস্তিত্ব ছিল, গ্রাহাম বিয়ার্ডের আবিষ্কৃত জীবাশ্মই তার প্রমাণ৷ এই গাছ প্রায় ২০০ ফুট লম্বা হয়৷ এর ফুল খাওয়া যায়৷ স্থানীয় এর ফলও খেয়ে থাকে৷ মেহগনি গাছের কাঠ খুবই মূল্যবান৷
বিয়ার্ডের আবিষ্কৃত এই জীবাশ্মটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন ড. অ্যাটকিনসন৷ প্রসঙ্গত, ওই পাথরটির মধ্যে লুকিয়ে ছিল আরও একটি জীবাশ্ম৷ ড. অ্যাটকিনসন এই মেহগনির জীবাশ্মটি বিশ্লেষণ করে এর গঠন এবং এর জিনগত ইতিহাস ব্যাখ্যা করেছেন৷ বর্তমান মেহগনির সঙ্গে আদিম মেহগনির মধ্যে অনেকটাই মিল খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷