বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী পাসপোর্ট হল জাপান, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট। সম্প্রতি হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের তরফ থেকে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী এবং সর্বাধিক দুর্বল পাসপোর্টের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকাতেই একেবারে শীর্ষস্থান দখল করেছে এই তিন দেশ। জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র জাপানের পাসপোর্ট দেখিয়ে বিনা কোনও সমস্যা এবং বিনা ভিসায় মোট ১৯৩টি দেশ ভ্রমণ করা যায়। একইভাবে সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট দেখিয়ে ১৯৪ টি দেশে বিনা ভিসায় প্রবেশাধিকার মেলে। এই তালিকাতে রয়েছে ভারতের নামও। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার আমাদের দেশ শক্তিশালী পাসপোর্টের নিরিখে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে এই তালিকায় ৮৭ নম্বর স্থান দখল করেছে ভারতের পাসপোর্ট। অন্যদিকে আফগানিস্তানের পাসপোর্টকে সর্বাধিক দুর্বল পাসপোর্টের তকমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগান পাসপোর্টের সাহায্যে মাত্র ২৭টি দেশ বিনা ভিসায় পরিভ্রমণ করা যায়।
তবে একা ভারত নয়, ভারতের পাশাপাশি রাশিয়া এবং চীনের পাসপোর্টেরও শক্তি ক্ষয় হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই তালিকায় ৫০ তম স্থান দখল করেছে রাশিয়া। কারণ এই দেশের পাসপোর্ট দেখিয়ে ১১৯ টি দেশে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়। অন্যদিকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ৬৯তম স্থান দখল করেছে প্রতিবেশী দেশ চীন। এই দেশের পাসপোর্ট দেখিয়ে ৮০টি দেশে প্রবেশাধিকার মেলে।
অন্যদিকে, বিশ্বের সেরা ১০ শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় জায়গা দখল করেছে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মত দেশ। জানা যাচ্ছে এই তালিকায় ষষ্ঠতে নাম ব্রিটেনের। কারণ ব্রিটেন পাসপোর্টের সাহায্যে ১৮৭টি দেশে প্রবেশাধিকার মেলে। অন্যদিকে ১৮৬টি দেশের প্রবেশাধিকার মেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টে। ফলে এই তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছে আমেরিকার পাসপোর্ট। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান খুইয়ে এবার তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে জার্মানি। এই তালিকায় জার্মানিকে বেশ কিছুটা পিছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বলে রাখা ভালো, এই তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়া নব সংযোজন।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় এশিয়া দেশগুলোর মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার বাদবাকি দেশ যথা নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এই তালিকায় অনেকটাই পিছনের দিকে অবস্থান করছে। শক্তিশালী পাসপোর্টের এর নিরিখে ১০৪ এ অবস্থান বাংলাদেশের। অন্যদিকে ১০৬ এ অবস্থান করছে নেপাল এবং ১০৯ তম স্থান দখল করেছে পাকিস্তান।