নয়াদিল্লি: এ অসুখ শ্রেণি বিন্যাস মানে না। উঁচু-নিচু, ছোট-বড়, গরিব-বড়লোক মানে না। রাজার ঘরেও আছে, প্রজার ঘরেও আছে। অনেকে তো মজা করে বলছেন, করোনা ভাইরাস সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদে বিশ্বাস করে।
করোনা ভাইরাস ভারতে একাধিক উজ্জ্বল সামাজিক পরিচয়ে পরিচিত ব্যাক্তির শরীরে প্রবেশ করেছে। ভারত সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রনায়ক, মন্ত্রী এবং প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতারা আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোভিড-১৯ পজিটিভ – তা কোনও বিছিন্ন ঘটনা নয়।
১. ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বোলসোনারো জুলাই মাসের গোড়াতেই করোনা আক্রান্ত হন। শুরুতে তিনি উপসর্গহীন ছিলেন। ব্রাজিলের সঙ্গে ভারতের কিছুটা মিল রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এর হিসাব অনুযায়ী ব্রাজিলে ৯৯৫৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশ্বে তারা দ্বিতীয় স্থানে। পঞ্চম স্থানে ভারত – মৃত্যু ৪৩৩৭৯। বোলসোনারো'র বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশে করোনা পরিস্থিতি যে গুরুতর, তা মানতেই চাননি। তবে, বর্তমানে তিনি সুস্থ।
২. বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মার্চের ২৭ তারিখ আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুরুতে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সারা বিশ্ব। খুবই স্বাভাবিক, ব্রিটেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য নেতা। নিজেকে কোয়ারেন্টিন করে নিয়েছিলেন বরিস। পরে, তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠান হয়। কিছুদিন পরে বিপদমুক্ত হন বরিস।
৩. রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিসুষ্টিন করোনা আক্রান্ত জন এপ্রিল মাসে। তাঁর কাজকর্মে দায়িত্ব নেন ডেপুটি অন্দ্রেই বেলউসভ।
৪. ইউনাইটেড কিংডম 'ক্রাউন প্রিন্স' প্রিন্স চার্লসকেও ছাড়েনি করোনা। মার্চ মাসের ২৫ তারিখে তিনি জানান, তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে করোনা। ঘরবন্দি হন রাজকুমার। তবে, মার্চের ৩০ তারিখ করোনা মুক্ত হন তিনি। আজ পর্যন্ত 'সোশ্যাল ডিস্টেন্স' বজায় রেখে চলছেন।
৫. ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকভ লিটসমান করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র কাছাকাছিও এসেছিলেন।
৬. ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসউমে এবটেকার করোনা আক্রান্ত হন। ইরানের মন্ত্রীসভায় তিনিই সর্বোচ্চ মহিলা পদাধিকারী। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি'র পরেই রয়েছেন ক্ষমতাবান এই মহিলা।
৭. অস্ট্রেলিয়া'র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার দুটন'ও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।