ওয়াশিংটন: মহামারী করোনার কোপ আফ্রিকা মহাদেশে সেভাবে এখনও পড়েনি। কিন্তু, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- হু। এক অস্থায়ী নমুনায়নে আক্রান্তের এই হার উঠে আসার কথা জানিয়েছেন হু’র আফ্রিকা অঞ্চলের ইমার্জেন্সি অপারেশন্স’র প্রধান মাইকেল ইয়াও। তবে অভ্যাসে বদলের মধ্য দিয়ে এই সংখ্যায় বদল আনা সম্ভব বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমনের চিত্রকে সামনে রেখেছেন।
বিশ্বে দরিদ্রতম অঞ্চল আফ্রিকা মহাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় নয়শো জনের। তবে হু’র নমুনায়নে এই সংখ্যা আগামী দিনে অনেক বেশি বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এক টেলিকনফারেন্সে মাইকেল ইয়াও বলেন, ইবোলা সংক্রমণের সবচেয়ে মারাত্মক অনুমান করা হয়েছিল তা সত্যি হয়নি। কারণ, মানুষ সময় মতো অভ্যাসে বদল এনেছিল। করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে কোনও ধারণা কঠিন। কারণ, পরিস্থিতি অনেক বদলে যায় এবং জন স্বাস্থ্যগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সত্যিকার প্রভাব ফেলতে পারে।’
তবে, আফ্রিকা মহাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে সেখানকার ভঙ্গুর স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা চাপ সামলাতে পারবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে। আফ্রিকা অঞ্চলের হু’র পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, ‘ভাইরাসটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভৌগলিক দিক থেকে পরিবর্তিত হতে থাকায় আমরা আতঙ্কিত। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।’এখন পর্যন্ত আফ্রিকায় করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। কঠোর লকডাউন আরোপ করার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবে বুরকিনা ফাসো, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও আলজেরিয়ার মতো দেশগুলিতে গড় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।