বয়স মাত্র ২১ বছর। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আর পাঁচজন সাধারণ তরুনীর মতোই ছিল সদ্য কুড়ি পার করা জার্মান বংশভূত জেসিকা বানির চেহারা ও দেহের গঠন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর মাথায় চাপে বিখ্যাত হওয়ার ভূত। আর কিভাবে সেই খ্যাতি অর্জন করবেন তাঁর রাস্তাও খুঁজে পান তরুণী। এরপরই শুরু হয় দেহের উপর একের পর এক ছুরি-কাঁচি চালানো তথা প্লাস্টিক সার্জারি। কয়েক বছর ধরে লাগাতার প্লাস্টিক সার্জারি করে বর্তমানে একুশ বছরের ওই জার্মান তরুণী নিজেকে একটি জ্যান্ত পুতুলে পরিণত করেছেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, জেসিকার বরাবরই ইচ্ছা ছিল তাঁর দেহের গঠন হবে বার্বি ডলের মতো। আর সেই ইচ্ছা পূরণ করতে কসমেটিক সার্জারির জন্য ইতিমধ্যেই ৭০ হাজার ডলার খরচ করে ফেলেছেন ওই তরুণী। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় শেষমেষ বিখ্যাতও হয়েছেন জেসিকা। নিজেকে তো বার্বি ডলের রূপ দিয়েছেনই, সেই সঙ্গে আরও একটি জিনিসের জন্য বিশ্বজুড়ে নাম ছড়িয়েছে এই তরুণীর। তা হল তাঁর আকর্ষণীয় স্তন। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে জেসিকাই সবথেকে বড় স্তনের অধিকারিণী একজন বিখ্যাত মডেল। জেসিকার মত বড় স্তন এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোন মডেলেরই নাকি নেই। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জেসিকা জানিয়েছেন, তাঁর এক একটি স্তনের দৈর্ঘ্য দুই হাজার কিউবিক সেন্টিমিটার। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে এই আকার আরও বাড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে জেসিকার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর ইনস্টাগ্রামে বিখ্যাত এই মডেল বর্তমানে ভিয়েনার বাসিন্দা। তিনি শুধুমাত্র স্তনের জন্য নয় বড় এবং আকর্ষণীয় নিতম্ব এবং ঠোঁটের জন্যও একাধিক কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত জেসিকার কসমেটিক সার্জারির পিছনে ৭৩ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে জেসিকা জানিয়েছেন, আগামী দিনে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তাঁর আরও বেশ কয়েকটি কসমেটিক সার্জারির পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে, তাঁর এই সিদ্ধান্তে তিনি তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যদেরই পাশে পাননি। তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই নাকি তাঁকে ইতিমধ্যেই ফোনে ব্লক করে দিয়েছেন।
ওই সাক্ষাৎকারেই জেসিকা জানান, তাঁর বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা সকলেই চাইতেন তিনি মন দিয়ে পড়াশোনা করুন। কিছু জেসিকার পড়াশোনার থেকেও বেশি আকর্ষণ ছিল নিজের চেহারা পরিবর্তনের দিকে। তাঁর যখন ১৭ বছর বয়স তখন থেকেই জেসিকা একের পর এক কসমেটিক সার্জারি করাতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, যতবার তিনি নিজেকে পরিবর্তন করেছেন ততবারই এক এক করে তার পরিবারের সদস্যরা তাঁর থেকে দূরে চলে গিয়েছে।