কলকাতা: অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইটে প্রথম আলাপ তাঁদের৷ সেখান থেকেই ভালোলাগা এবং সবশেষে পরিণয়৷ পেশায় শল্যচিকিৎসক ও ব্যবসায়ীর গলায় মালা দেন তরুণী৷ কিন্তু বিয়ের ১০ মাস পর স্ত্রী জানতে পারলেন তাঁর স্বামী আদতে পুরুষই নন! এর পরেউ প্রতারণায় অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন স্ত্রী৷ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়৷
আরও পড়ুন-এই দেশগুলিতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক, নিয়ম লঙ্ঘনে মেলে কড়া শাস্তি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণী জানান, অনলাইন ডিটিং সাইটে আলাপ হওয়ার পর তিন মাস তাঁরা মেলামো করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি৷ এরই মধ্যে ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন৷ তিনিও কাজি হয়ে যান৷ কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ নয়৷ ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন গোপনে বিয়ে সারতে৷ এমনকী বিয়ের খরচ বাবদ তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ৷
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পরেও টাকা চাওয়া বন্ধ হয়নি৷ নিজের ব্যবসা থাকা সত্ত্বেও কেন এ ভাবে টাকা চাইছে সেটা ভেবেই সন্দেহ হয় ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের৷ শুরু হয় অশান্তি৷ এরই মধ্যে ওই তরুণী জানতে পারেন আসলে তাঁর স্বামী পুরুষই নন, বরং এক নারী৷ বিষয়টি ফাঁস হতেই ওই তরুণীকে বাড়িতে বন্ধ করে রাখেন ‘স্বামী’৷
এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই তরুণীর পরিবার৷ পরে তাঁদের দক্ষিণ সুমাত্রা থেকে খুঁজে বার করে পুলিশ। ওই তরুণীকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ পরে জানা যায় চিকিৎসকের ডিগ্রি এমনকী ব্যবসার নথি, কিছুই দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>