iron
গাজা: দেশটা যখন ঘুমিয়ে ছিল, ঠিক তখনই স্থল, জল এবং আকাশ থেকে একযোগে ইজরায়েলের ওপর হামলা করেছে প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস৷ সেই থেকে চলছে লড়াই৷ পাল্টা গাজা সীমান্তে হামলা করেছে ইজরায়েলের সেনাও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১ হাজারের ওপর মৃত্যু হয়েছে দুই পক্ষেরই। এই যুদ্ধ কতদিন চলবে তা আপাতত বলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের তরফে হুঙ্কার দেওয়া হয়েছে যে তারা হামাস বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে ছাড়বে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ইজরায়েলের যে ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’কে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর বলে মনে করা হয়, সেটি কী ভাবে হামাসের এই হামলা আটকাতে পারল না?
হামাস গোষ্ঠী এই হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’। গত শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই তারা মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালায় ইজরায়েলের ওপর। যতক্ষণে ইজরায়েল পাল্টা হামলার কথা ভেবেছে ততক্ষণে বহু মানুষকে মেরে দিয়েছে হামাসের এই রকেট আক্রমণ। কিন্তু কেন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ এই হামলা রুখতে পারল না সেই নিয়ে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইজরায়েলি এই ব্যর্থতার পিছনে হামাসের ‘পড়াশুনা’ কাজ করছে। প্রসঙ্গত, হামলার প্রথম দিনে হামাস মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ৫ হাজার রকেট গাজা থেকে ইজরায়েলে ছোড়ে।
জেনে রাখতে হবে, ইজরায়েলের আকাশসীমায় কড়া নজরদারি চালানো অনন্য প্রযুক্তির নাম ‘আইরন ডোম’। রোট হামলা হোক বা ক্ষেপণাস্ত্র, এমনকি ড্রোন হামলা, সবকিছুকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম এটি। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে কোনও মিসাইল বা রকেট ছোড়া হলে এটি তা আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্রতিনিয়ত এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার কাজই করে ইজরায়েল। তাহলে কেন এই ব্যর্থতা? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেক দিন ধরেই ইজরায়েলের প্রযুক্তির দুর্বলতা খোঁজার কাজ চালাচ্ছিল হামাস। তার খোঁজ তারা পেয়েছিল এবং প্রথমে যে মুহুর্মুহু আক্রমণ করা হয়, সেটা শুধুমাত্র ‘আইরন ডোম’কে বিভ্রান্ত করার জন্য। অত কম সময়ে এতগুলি রকেট হামলায় সেটি দিশাহারা হয়ে পড়ে।