জেনেভা: গোটা বিশ্ব এখন করোনার ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে চিন্তিত। তবে এরই মাঝে চিনের এক দল বিশেষজ্ঞ দাবি করেছে যে, করোনার একটি নতুন প্রজাতি সংক্রমণ শুরু করছে যার নাম ‘নিওকোভ’। এই প্রজাতি এতটাই মারাত্মক যে তিনজন সংক্রামিত হলে একজনের মৃত্যু হতে পারে। চলতি কোনও টিকা একে প্রতিরোধ করতে পারবেন না বলেও দাবি করা হয়েছে তাদের তরফে। সঙ্গে সঙ্গেই এই নিয়ে হইহই শুরু হয়েছে সব জায়গায়। রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। কিন্তু আদৌ কি এই ভাইরাস এতটা প্রাণঘাতী? আপাতত তেমনটা মনে করছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা ‘নিওকোভ’ নিয়ে আরও গবেষণা চাইছে।
আরও পড়ুন: তিনজনে একজনের মৃত্যুর আশঙ্কা! করোনার নয়া রূপ ‘নিওকোভ’ চিহ্নিত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষের দেহে সংক্রমিত ভাইরাসের উৎস বন্যপ্রাণী। কিন্তু সেগুলির মধ্যে সবই মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। আর এই নয়া প্রজাতির ভাইরাস মূলত থাকে বাদুড়ে। নোভেল করোনাভাইরাসও বাদুড় থেকেই ছড়িয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। তাই এই ভাইরাস নিয়ে এখন আরও পর্যালোচনার দরকার রয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেক্ষেত্রে এখনই এই ‘নিওকোভ’কে প্রাণঘাতী বলতে চাইছে না তারা। যদিও এই ব্যাপারে সচেতন থাকারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ যে কোনও সময় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, উহানের একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, এই ‘নিওকোভ’-এর সংক্রমণ ক্ষমতা সবথেকে বেশি এবং শ্বাসযন্ত্রকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এই প্রজাতি। সেই কারণেই এর মারণ ক্ষমতাও খুব বেশি বলেই আশঙ্কা। তবে এই ভাইরাস নিয়ে এখনও গবেষণা চললেও আপাতত দাবি করা হয়েছে যে, এখন যে সমস্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার কোনওটাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবে না।
কিন্তু এই ভাইরাস নিয়েই একটি চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’। তাদের বক্তব্য, চিনা বিজ্ঞানীরা যে ভাইরাস প্রজাতির কথা বলছে তাকে ভয় পেয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই! তারা জানাচ্ছে, মানব শরীরে এই ভাইরাসের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই চাই নিপুণ গবেষণা।