জেনেভা: করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে সব থেকে বেশি চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই নতুন প্রজাতি যেটাকে ডেল্টা বলা হচ্ছে, সেটা ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর ভারতে ছড়িয়ে পড়া এই প্রজাতির ভাইরাস নিয়ে প্রচন্ড উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ এটিকেই বিশ্বের সবথেকে সংক্রামক প্রজাতির তকমা দিয়েছে তারা। এই কারণে বিশ্বের গরিব দেশ গুলির টিকাকরণ নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই প্রেক্ষিতেই অন্যান্য দেশ গুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে তাদের তরফ থেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাসের এই নতুন ডেল্টা প্রজাতি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটাই বিশ্বের সবথেকে সংক্রামক স্ট্রেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, এখনো পর্যন্ত মোট ৭৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস। এদিকে এখনো পর্যন্ত বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যেখানে ঠিকমতো টিকাকরণ হচ্ছে না। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাতে গরিব দেশ গুলিতে টিকা পাঠানো যায় তার জন্য উন্নত দেশগুলির কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছে হু। ডেল্টা সংক্রমণ নিয়ে আরও জানা গিয়েছে, এই প্রজাতির সংক্রমনের জন্য বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে আফ্রিকায় কারণ গত এক সপ্তাহে সেখানে মৃত্যুর হার বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই মনে করা হচ্ছে দ্রুত টিকাকরণ না হলে আরো ভয়ানক রূপ নেবে এই সংক্রমণ পরিস্থিতি। আফ্রিকার মত অনেক গরীব দেশে এখনো পর্যন্ত ঠিকভাবে টিকাকরণ শুরু হয়নি। তাই বিশ্বের উন্নত দেশগুলির কাছে তাদের আবেদন, তারা যাতে এইসব গরিব দেশ গুলিকে টিকা সরবরাহ করে। উল্লেখ্য, ডেল্টা স্ট্রেন হল বি.১.৬১৭। এটি মূলত ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। ডেল্টা স্ট্রেন ফের নিজের মিউটেশন ঘটিয়ে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন গঠন করেছে।
আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্তদের নির্জন দ্বীপে পাঠাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক গবেষণা দাবি করেছিল, এরপর হয়তো করোনার আর ভয়ানক রূপ দেখা যাবে না। করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির ‘ডেল্টা’র অস্ত্রের ধার শীর্ষ বিন্দুতে পৌঁছে গিয়েছে! অর্থাৎ এটাই হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবথেকে ভয়ঙ্কর রূপ। তবে এরপর আর ভয়ঙ্কর হতে পারবে না এই ভাইরাস কারণ এই প্রজাতি তার সমস্ত শক্তি ব্যয় করে দেবে। বিগত এক বছর ধরে করোনাভাইরাস একাধিকবার নিজের রূপ পরিবর্তন করেছে এবং সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে। তবে এখন বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, আরো একবার রূপ বদলের জন্য যতটা পরিমাণ স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তন দরকার ততটা ‘ডেল্টা’য় নেই।