বেজিং: বিশ্বকে করোনামুক্ত করতে এবার চিনের ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় অেনেক দেশই নিজেদের মতো করে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করে চলেছে৷ চিনও অনেক দিন ধরেই সিনোফার্ম নামক ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে, যা ওই দেশে প্রয়োগ চলছে৷ এবার তাকেই স্বীকৃতি দিল হু৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এত দিন পর সিনোফার্ম ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিলেও, চিন কিন্তু অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই নিজের দেশে এর ব্যবহার শুরু করে দিয়েছিল। চিন সূত্রে খবর, বেশ অনেক দিন ধরেই সেদেশে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে৷ ইতিমধ্যেই চিনের লক্ষাধিক বাসিন্দা এই ভ্যাকসিন গ্রহণও করেছেন। শুধু চিন নয়, তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা, হাঙ্গেরি এবং পাকিস্তানেও এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলেছে৷ এই দেশগুলোও সিনোফার্ম ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হু-র অনুমোদনের অপেক্ষা করেনি৷ সারা বিশ্বের নিরিখে আদর্শ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে তারপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেয়। সেই দিক দিয়ে সিনোফার্ম হল প্রথম ভ্যাকসিন, যা বিশ্বের পশ্চিমের কোনও দেশে তৈরি হয়নি৷ এমনকি পশ্চিমের কোনও দেশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা নেই এই ভ্যাকসিন তৈরিতে৷
চিনের এই ভ্যাকসিন সাবেকি পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে। ভাইরাসের মৃত কোষ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সিনোফার্ম, এটি শরীরের ভিতরে গিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ৭৯ শতাংশ৷ ট্রায়াল চলার সময় সিনোফার্ম ৬০ বছর এবং তার থেকে বেশি বয়সের স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করাটাও উল্লেখযোগ্য। এতে ১৮ থেকে শুরু করে যে কোনও বয়সের ব্যক্তি এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। অন্য ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে যেমন হয়, এরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একই রকম৷ এর ক্ষেত্রেও দু’টি ডোজ নিতে হবে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রাতেই সিনোফার্ম সংরক্ষণ করা যাবে। সিনোভ্যাক নামে আর একটি চিনা ভ্যাকসিন নিয়েও পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হয় তো খুব তাড়াতাড়িই সেটিও অনুমোদন পাবে।