জেনেভা: অতিমারি শেষ হতে যে সময় লাগবে তা অনেক আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু কেন এমন হবে? বিশ্বজুড়ে চলছে টিকাকরণ, আবার নয়া যে প্রজাতি এসেছে তাতেও সংক্রমণ মৃদু। তাহলে কোথায় সমস্যা? সেটাই এবার স্পষ্ট করে দিল স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থা। বলা হল, যত বেশি গাফিলতি করা হবে, তত বেশি দিন স্থায়ী হবে অতিমারি।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! প্ল্যান্টে গ্যাস লিক, মৃত্যু একাধিক শ্রমিকের
ইতিমধ্যে আরও নয়া প্রজাতি আসবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিন্তু ওমিক্রন নিয়ে যে ভয় এখনই কাটছে না তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, ওমিক্রনে সংক্রমণ মৃদু বলে অনেকেই তাকে হালকাভাবে নিচ্ছে সেটা ঠিক নয়। এদিকে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট তেমন ক্ষতিকর নয় জানিয়ে ও অর্থনীতির অবস্থা ফেরাতে বিভিন্ন দেশ বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অত্যন্ত মারাত্মক হতে পারে মত তাদের। এই গাফিলতির জন্যই অতিমারি আরও দীর্ঘ দিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের এক স্বাস্থ্য কর্তা জানাচ্ছেন, হয়তো একাধিক দেশে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আগেই জানা গিয়েছিল যে, ওমিক্রন ছাড়াও এই মুহূর্তে একাধিক করোনা প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। তাই কখন কোন প্রজাতি ক্ষতিকর হয়ে ওঠে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ওমিক্রন নিয়ে একটি গবেষণার ফল হাতে পেয়েছেন। সেটি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একবার ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার পর যদি সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে তার সংক্রমণ খুব একটা বাড়াবাড়ি জায়গায় যাচ্ছে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এতএব ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার পর করোনা হলে মৃত্যু ভয় অনেকেটাই কমে যাচ্ছে রোগীদের জন্য। যদিও আপাতত এই জিনিস দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে যে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করবে না, তার নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না।