ওমিক্রনই শেষ নয়! আরও করোনা প্রজাতি নিয়ে সতর্কতা WHO-র

ওমিক্রনই শেষ নয়! আরও করোনা প্রজাতি নিয়ে সতর্কতা WHO-র

জেনেভা: অতিমারি যে এখনই শেষ নয় সেই সতর্কতা আগেই দিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে বড় আপডেট দিল তারা। স্পষ্ট জানান হল যে, কেউ যদি মনে করে থাকে ওমিক্রন করোনার শেষ প্রজাতি তাহলে সে ভুল ভাববে! কারণ ওমিক্রনে শেষ হয়ে যাচ্ছে না করোনার দাপাদাপি, আরও অনেক প্রজাতি আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। দাবি করা হচ্ছে, এখনও ব্যাপকভাবে নিজেকে পরিবর্তন করছে এই ভাইরাস, তাই আশঙ্কা এখানেই থেমে থাকবে না করোনা ভাইরাস নিয়ে।

আরও পড়ুন- ওমিক্রন ঢেউ শেষ হবে রকেট গতিতেই! রিপোর্টে পূর্বাভাস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওমিক্রনই কোভিড-১৯-এর শেষ প্রজাতি নয়। এরপর আরও অনেক প্রজাতি আসতে পারে যারা এর থেকেও বেশি সংক্রামক। অনেকে মনে করছিলেন যে, ওমিক্রন বিরাট সংক্রামক হলেও মৃত্যু হার কম, তাই আসতে এই প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত করোনার আতঙ্ক শেষ করতে পারবে। কিন্তু প্রথম থেকেই ‘হু’ বলেছে অন্য কথা। তারা ওমিক্রনকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে, এও জানিয়েছে যে এই প্রজাতিতে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে তাই একে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু হয়নি। এখনও সেই কথায় তারা অনড় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্পষ্ট বার্তা, টিকাকরণে আরও জোর বাড়াতে হবে কারণ ভ্যাকসিন করোনা থেকে পর্যাপ্ত রেহাই দিতে পারে। তাঁদের কথায়, প্রতি দেশ যদি টিকাকরণে জোর দেয় তাহলে চলতি বছরেই করোনার শেষের শুরু হতে পারে।

এর আগে ‘হু’ জানিয়েছিল, যে সমস্ত দেশে একটা বড় সংখ্যক মানুষ এখনও টিকা পায়নি তাদের নিয়ে আলাদা চিন্তা থেকে যাবে। যারা এখনও টিকা পাননি তাদের অসুস্থতার তীব্রতা এবং মৃত্যুর আশঙ্কা বহুলাংশে বেশি। তাই অতিমারি যে শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন ধারণা ভুল কারণ টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরাই পরবর্তী ক্ষেত্রে ভাইরাস আরও ছড়াবেন। এছাড়া ওমিক্রন প্রসঙ্গে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই প্রশাসন, সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ ওমিক্রনের বিপক্ষে মুখ খুলেছে৷ কিন্তু এখনই আত্মসমর্পণ করার সময় আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফুসফুসে ক্ষতি করছে না ওমিক্রন! আশার বার্তা WHO-র

ফুসফুসে ক্ষতি করছে না ওমিক্রন! আশার বার্তা WHO-র

জেনেভা: দৈনিক আক্রান্ত হু হু করে বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। এর একটাই কারণ, করোনার ভাইরাস ওমিক্রন প্রজাতি। আমেরিকা সহ বিশ্বের একাধিক দেশের সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী এই প্রজাতি। দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে এই কারণে। কিন্তু এই আবহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশার বার্তা দিল। তাদের তরফ থেকে জানান হল যে, ওমিক্রন আগের প্রজাতির মতো ফুসফুসে আক্রমণ করছে না। এতএব, আতঙ্কের সেইভাবে কোনও কারণ নেই। তবে সকলকে যে সচেতন থাকতে হবে সেটা স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টের মতো এই ওমিক্রন শ্বাসনালীতে আক্রমণ করছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো ফুসফুসের ক্ষতি করছে না। তাই এবার আক্রান্তের মধ্যে নিউমোনিয়ার সংখ্যা কম। আগের মতো বিরাট চিন্তারও কোনও জায়গা নেই বলেই আশ্বস্ত করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ওমিক্রন সাধারণত শ্বাসনালীর ওপরের দিকের অংশে প্রভাব ফেলে। কিন্তু তার উপসর্গ মৃদু এবং খুব বেশি ভয়ানক নয়। তথ্য ও প্রমাণ দেখে আপাতত এই উপসংহারে এসেছে তারা। তবে এখনই এই নিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচার জায়গা নেই বলেই সতর্ক করা হয়েছে। কারণ, মৃদু হলেও ওমিক্রন কখন ভয়ানক হয়ে উঠবে তার কোনও গ্যারান্টি এখন নেই। পাশাপাশি, আরও কোনও প্রজাতি ডেল্টার মতো ভয়াবহ হয়ে উঠবে কিনা, সেটাই স্পষ্ট নয়।

ইতিমধ্যে আবার ধরা পড়েছে এক নতুন করোনা প্রজাতি, নাম IHU। এটি ওমিক্রনের থেকে বেশি সংক্রামক বলে জানা যাচ্ছে। ফ্রান্সে এই IHU প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সেখানে যিনি প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ক্যামেরুন থেকে এসেছেন। তিনি ফ্রান্সেরই নাগরিক। সেদেশের একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্সে এই মুহূর্তে IHU আক্রান্ত ১২ জন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, IHU-তে ৪৬ টি মিউটেশন রয়েছে এবং এটি ওমিক্রনের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রনের মতো এরও মারণ ক্ষমতা কম বলেই আপাতত অনুমান করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *