ওয়াশিংটন: পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র, পৃথিবীর সব শক্তির উৎস সূর্য। পৃথিবীতে জীবজগতের বেঁচে থাকা এবং টিঁকে থাকার প্রধান কারণ এই নক্ষত্রের থেকে পাওয়া আলো এবং তাপ। ফলে যুগ যুগ থেকে এর সম্পর্কে কৌতূহলও বড় কম নয়। এবার তার সন্ধান পেতেই সূর্যের একদশকের টাইম ল্যাপস ভিডিও প্রকাশ করল নাসা। সোলার ডায়নামিকস অবজারভেটরি বা SDO-র কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ছবি প্রকাশ করতে পেরেছে নাসা।
জানা যাচ্ছে, গত দশবছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৭৫ সেকেন্ড অন্তর অন্তর সূর্যের হাই রেজোলিউশন ছবি তুলেছে SDO. এই মহাকাশ এজেন্সির দাবি প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন ছবি জমা হয়েছে তাদের কাছে। ডেটা আকারে যার পরিমান প্রায় ২০ মিলিয়ন জিবি। এই সমস্ত তথ্য আমাদের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র সম্পর্কে প্রচুর তথ্য এবং আবিষ্কারের সন্ধান যেমন দিয়েছে তেমনই কীভাবে সূর্য সৌরমণ্ডলে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা মিলেছে বলে দাবি নাসার। তবে সূর্যের দিকে চোখ রেখে বসে থাকলেও SDO-র কাজে বেশ কিছু ভ্রান্তিও দেখা গেছে।
মাঝে মাঝে বেশ কিছু কালো ফ্রেম চলে এসেছে ভিডিওতে। মূলত যান্ত্রিক কারণ এবং গ্রহণ কিংবা মহাকাশযান সামনে এসে যাওয়ায় ছবি ওঠায় ব্যাঘাত ঘটেছে। ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশী সময় স্ক্রিন কালো হয়ে যায়, কারণ সেসময় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। যদিও এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই ত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়। প্রকাশিত ভিডিওটির সঙ্গীত সংযোজনা করেছেন জার্মান সঙ্গীতশিল্পী লার্স লিওনহার্ড। নাসার এই SDO মিশন যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। মূলত সূর্যের শক্তি, সূর্যের ভিতরে কী কী কর্মকাণ্ড চলে, কীভাবে এর ভিতরে শক্তিসঞ্চয় হয় এবং সূর্যের বায়ুমণ্ডলে তা সম্প্রসারিত হয়, তা নিয়ে গবেষণা করাই হল এই মিশনের উদ্দেশ্য। নাসার লিভিং উইথ আ স্টার প্রোগ্রামের অধীনে থাকা প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ হল এই SDO৷