নিউ ইয়র্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে এখন প্রধান কাম্য হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন৷ তবে করোনা সংকটে আরও একটি বিষয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে৷ তা হল ‘হার্ড ইমিউনিটি’র কনসেপ্ট৷ অর্থাৎ গোটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হতে দেওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, ‘‘হার্ড ইমিউনিটি তখনই গড়ে উঠবে যখন অধিকাংশ জনগনের মধ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলার শক্তি তৈরি হবে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির ধারে কাছেও নেই আমরা৷ ’’
আরও পড়ুন- পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ভেঙে দু’টকুরো, বড় বিপদের ইঙ্গিত নাসার
হার্ড ইমিউনিটি কি? যত বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হবে, আমরা ততই হার্ড ইমিউনিটির কাছাকাছি পৌঁছব। কোনও ভাইরাস কারও দেহে সংক্রামিত হলে তাঁর শরীরে ওই ভাইরাস প্রতিরোধ করার শক্তিও তৈরি হতে থাকে। সংক্রামিত মানুষ যখন সুস্থ হয়ে ওঠেন, তখন তাঁর শরীরে ভাইরাসটা পরাজিত হয়৷ অর্থাৎ ওই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা জিতে যায়।
অতএব এখন যদি সংক্রমণটা তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ যদি সংক্রামিত হন, তা হলে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতাটাও তৈরি হয়ে যাবে। এক সময় দেখা যাবে যে, ভাইরাসটি আর নতুন করে কারও দেহে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তখন স্বাভাবিক নিয়মেই সে নির্মূল হয়ে যাবে। এটাকেই বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।
আরও পড়ুন- পরমাণু হামলার পর এই প্রথম, করোনা বোমায় অর্থনীতিতে রেকর্ড ধস জাপানে
তবে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইক রেয়ান বললেন, ‘‘এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার মতো অবস্থায় আমরা নেই৷ কী ভাবে এই সংক্রমণ রোখা সম্ভব এখন সেদিকেই আমাদের জোড় দিতে হবে৷ হার্ড ইমিউনিটি আমাদের এই ভাইরাসের হাত থেকে পরিত্রাণ দেবে, সেই আশায় আমরা দিন গুণতে পারি না৷’’